Home স্বাস্থ্য মায়ের বুকের দুধেও কীটনাশক!

মায়ের বুকের দুধেও কীটনাশক!

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

মায়ের বুকের দুধেও  রাসায়নিক? সদ্যোজাতের পুষ্টি ও বৃদ্ধির জন্য সঞ্জীবনী মায়ের বুকের দুধ। আর তাতেই নাকি ক্ষতিকর কীটনাশক পাওয়া গেছে বলে দাবি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। ভারতের উত্তরপ্রদেশে গত ১০ মাসে প্রায় ১১১ জন সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে অজ্ঞাত কারণে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ওই শিশুদের শরীরে কীটনাশক পাওয়া গেছে। ওইটুকু বাচ্চারা বাইরের খাবার বা পানীয় খায়নি। একমাত্র জন্মের পরে মায়ের বুকের দুধই খেয়েছিল। তাই অনুমান, সেই দুধের রাসায়নিক শরীরে ঢুকতেই মৃত্যু হয়েছে তাদের।

লখনৌর কুইন মেরি হাসপাতালে গর্ভবতী মা ও সদ্য প্রসব হয়েছে এমন মায়েদের বুকের দুধের (breast milk) নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতেই পাওয়া গেছে কীটনাশক। সব্জির ফলন বাড়াতে চাষের জমিতে যে ধরনের রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয় তাই পাওয়া গেছে বুকের দুধের নমুনায়। হাসপাতাল জানাচ্ছে, খাবার থেকেই প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক ঢুকছে শরীরে। সদ্য মা হয়েছেন যাঁরা তাঁদের বুকের দুধেও পাওয়া গেছে সেইসব রাসায়নিক।

গবেষক সুজাতা দেব, ডা. আব্বাস আলি মেহন্দি ও ডা. নয়না দ্বিবেদী এই নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁরা বলছেন, ১৩০ জন শাকাহারী ও আমিষাশী মহিলার বুকের দুধে ক্ষতিকর কীটনাশক পাওয়া গেছে। শাকসব্জির ফলন বাড়াতে যেমন কীটনাশক ও রাসায়নিকের প্রয়োগ হয়, তেমনি খামারের পশুদেরও রাসায়নিক মেশানো খাবার দেওয়া হয়। তাদের নানা রকম সাপ্লিমেন্ট, ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় যা পশুর থেকে মানুষের শরীরে ঢোকে। গর্ভবতীদের জন্য এই রাসায়নিক খুবই ক্ষতিকর। মায়ের থেকে শিশুর শরীরে গেলে তা ভয়ঙ্কর বিপদের কারণ হতে পারে।

আদতে কী ঘটনা ঘটছে, মায়ের বুকের দুধে পাওয়া রাসায়নিকই শিশু মৃত্যুর কারণ কিনা তা জানতে তিন সদস্যের কমিটি তৈরি করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে সেই কমিটিকে।

মায়ের বুকের দুধে, প্লাসেন্টার মধ্য়েও এই ক্ষতিকর রাসায়নিকও (Bisphenol A) পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ১৯৯৯ থেকে ২০১০ সাল অবধি মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য় পরীক্ষা করে দেখা গেছে, স্কুলে যাচ্ছে এমন বাচ্চাদের মধ্য়ে হাঁপানি বাড়ছে। এর কারণ শুধুমাত্র বায়ুদূষণ নয়, পরীক্ষা করে দেখা গেছে মায়ের গর্ভে থাকার সময়েই বিষাক্ত রাসায়নিক ঢুকেছিল তাদের শরীরে। বিষ জমতে জমতে তা ভবিষ্যতে মারাত্মক আকার নিয়েছে। সেই রাসায়নিকই ধীরে ধীরে ডালপালা মেলে শ্বাসের নানা জটিল রোগ ডেকে এনেছে।