বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা:বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। তারেক রহমানকে ৯ বছর ও ডা. জুবাইদা রহমানকে ৩ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। দুদকের আইনজীবীর মতে, এ মামলায় সাজা হওয়ার জন্য যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে দুদক। যে কারণে তাদেরকে আদালত শাস্তি দিয়েছেন।
২০০৭ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারেক রহমান, জুবাইদা রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরের বছর তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। চলতি বছরের গত ১৩ই এপ্রিল তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
বুধবার (২ আগস্ট) বিকাল ৩টা ২১ মিনিটে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ রায় পড়া শুরু করেন।
এর আগে চার মামলায় তারেক রহমানের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়েছে। তবে জোবাইদার বিরুদ্ধে এটাই প্রথম মামলা। ইতিমধ্যে দুর্নীতির পৃথক দুটি মামলায় ১০ ও ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন তারেক রহমান। এ ছাড়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন এবং মানহানির একটি মামলায় তার দুই বছরের সাজা হয়েছে।
গত ওয়ান-ইলেভেনের পটভূমিতে তারেক রহমান গ্রেপ্তার হয়ে ২০০৮ সালে কারামুক্তি পান। এরপর স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে চলে যান তিনি। দীর্ঘ দিন ধরে জোবাইদা স্বামীর সঙ্গে সেখানেই রয়েছেন। ১৫ বছর ধরে দেশের বাইরে থাকা তারেক ও জোবাইদাকে পলাতক আসামি দেখিয়ে এ মামলার শুনানি শেষ হয়। উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত ও আইনের বিধান অনুযায়ী পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানি করতে পারেননি।