Home Third Lead অঞ্জুর ভিসার মেয়াদ বেড়েছে, প্লটসহ নানা উপহার

অঞ্জুর ভিসার মেয়াদ বেড়েছে, প্লটসহ নানা উপহার

অঞ্জু ও নাসরুল্লাহ
উপহার পেয়েছেন বাড়ি করার দুটি প্লট, চাকরির প্রস্তাব

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

প্রেমের টানে সীমানা পেরিয়ে ভারত থেকে পাকিস্তানে চলে যাওয়া অঞ্জু ( বর্তমান নামা ফাতেমা)’র ভিসার মেয়াদ আপাতত দু’মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে। তাঁর ভিসার মেয়াদ ছিল ২০ আগস্ট পর্যন্ত।  স্বামী নাসরুল্লাহ এই তথ্য জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে।

নাসরুল্লাহ আরও বলেছিলেন, যে তিনি চান ভারত সরকার অঞ্জুর দুই সন্তানকে পাকিস্তানে গিয়ে মায়ের কাছে থাকার অনুমতি দিক। কারণ, বাচ্চাগুলোর বয়স এখনও ১৫ পেরোয়নি।

তবে ভারত সরকার এই আবেদনে এখনও পর্যন্ত সাড়া দেয়নি। কিন্তু সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে অঞ্জু কি আর ভারতে ফিরবেন? সেই প্রশ্নের জবাবে নাসরুল্লাহ বলেন, ‘সেটা আর সম্ভব না। কারণ অঞ্জু ভারতে ফিরে গেলে তাঁর সঙ্গে কী কী করা হবে, সেটা কল্পনারও অতীত। ফাতেমা এখন এখানেই সমস্ত স্থানীয় প্রথা মেনে জীবনযাপন করবে।

গত জুলাই মাসে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় পৌঁছেছিলেন অঞ্জু। ভারতের রাজস্থানের আলওয়ার জেলায় স্বামী অরবিন্দ ও দুই সন্তানকে রেখেই সেখানে চলে গিয়েছেন অঞ্জু। সেখানে ধর্মান্তরিত হয়ে ফেসবুক বন্ধু নাসরুল্লাহকে বিয়ে করেন। ২০১৯ সালে দু’জনের প্রথম আলাপ হয়েছিল ফেসবুকে।

ফাতেমা বিপুল সম্পত্তি উপহার হিসেবে পেয়েছেন পাকিস্তানে । অঞ্জুকে বাড়ি তৈরির জন্য জমি দিয়েছেন পাক স্টার গ্রুপ অফ কোম্পানিজ-র প্রধান নির্বাহি মহসিন খান আব্বাসি। এছাড়া নগদ টাকাও দিয়েছেন তিনি।

সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, অঞ্জুকে ১০ মারলা বাড়ি তৈরির জমি উপহার দিয়েছেন আব্বাসি। এছাড়াও পাকিস্তানি মুদ্রায় ৫০ হাজার টাকার চেক পেয়েছেন তিনি।

অঞ্জুকে উপহার দেওয়ার পর এই নিয়ে বিবৃতি দেন আব্বাসি। “ভারত থেকে এসে অঞ্জু ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেছেন। তাঁকে অভিনন্দন জানানোর জন্যেই সামান্য এই অপহারগুলি দিয়েছি। তাঁর এই সাহসী সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।” সংবাদমাধ্যমকে বলেন আব্বাসি।

উপহার হিসেবে গয়নার বদলে কেন জমি দিলেন, তাও ব্যাখ্যা করেছেন পাক কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহি। তাঁর কথায়, “নতুন জায়গায় সবচেয়ে বড় সমস্যা হল মাথা উপর ছাদ পাওয়া। যেহেতু আমাদের একটা প্রকল্প চলছে, তাই সেখানেই অঞ্জুকে জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। কোম্পানির বোর্ড অফ ডিরেক্টরেটস এতে আপত্তি করেনি। আমরা অঞ্জুর নামেই প্লট দিয়েছি। এখানে স্বচ্ছন্দে নিজের বাড়ি তৈরি করতে পারবেন তিনি।”

মহসীন খান আব্বাসি নিজে নাসরুল্লার বাড়ি গিয়ে অঞ্জুকে তাঁর সংস্থায় চাকরির প্রস্তাবপত্রও দিয়ে এসেছেন। আব্বাসি সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, তাঁদের সংস্থার বোর্ডের সদস্যরা অঞ্জুকে একটি জমি দান করেছেন। শুধু তাই-ই নয়, পাকিস্তানে অঞ্জুর নথিপত্রের বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলেই তাঁকে ওই সংস্থায় চাকরি দেওয়া হবে। তার বিনিময়ে তাঁকে মোটা অঙ্কের বেতনও দেওয়া হবে।

আব্বাসি আরও জানিয়েছেন, অঞ্জুকে ২৭২ বর্গফুট জমি দেওয়া হয়েছে। ৫০ হাজার পাকিস্তান রুপি, এ ছাড়াও বেশ কিছু উপহারও দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানে অঞ্জুকে স্বাগত জানাতেই এ সবেই আয়োজন করা হয়েছে। পাখতুনখোয়ার অন্য ব্যবসায়ীদেরও আব্বাসি আবেদন করেছেন, তাঁরা যেন অঞ্জুকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। তাঁর কথায়, “অঞ্জুর যেন কোনও ভাবেই মনে না হয়, এটি ওঁর বাড়ি নয়। তাই ওঁকে খুশি রাখার সব রকম ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।” আব্বাসীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে নওয়াব হাউজিংও আরেকটি প্লট দিয়েছে অঞ্জুকে।