জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী মঙ্গলবার কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের উদ্যোগে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে কলকাতার বেকার গভর্নমেন্ট হোস্টেলের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি বিজড়িত কক্ষে তাঁর আবক্ষ মূর্তিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন ও বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। দুপুরে দুস্থ ও অনাথ শিশুদের মধ্যে খাবার বিলি করা হয় উপ দূতাবাসের উদ্যোগে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের (বর্তমানে মৌলানা আজাদ কলেজ) ছাত্র হিসেবে ১৯৪৫-৪৬ সালে ৮, স্মিথ লেনের বেকার গভর্নমেন্ট হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৪৬ সালে বঙ্গবন্ধু ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইসলামিয়া কলেজ থেকে ১৯৪৭ সালে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাসে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন।
মঙ্গলবার ‘বাংলাদেশ গ্যালারি’তে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
আলোচনা সভায় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননাপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. পবিত্র সরকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো ক্যারিশমেটিক ব্যক্তিত্ব খুব কম দেখা যায়, যাঁর ডাকে মানুষ অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিতে রাজি। আর তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে নারীর যে উন্নয়ন হচ্ছে সে উদাহরণ দুনিয়ায় বিরল।
উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, শুভ-অশুভর যুদ্ধ নিরন্তর চলমান। যা কিছু শুভ বঙ্গবন্ধু ছিলেন তার প্রতীক। তাই অশুভ শক্তি তাঁকে হত্যা করেছিল। কিন্তু শুভর জয় সুনিশ্চিত এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বর্তমান ঈর্ষণীয় সাফল্য তারই প্রমাণ।
‘ব্যক্তি মুজিবকে হত্যা করা গেলেও তার চেতনাকে হত্যা করা সম্ভব নয়’ বলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বঙ্গবন্ধুর বাকি খুনিদের দেশে ফেরাতে শেখ হাসিনার সরকারের প্রচেষ্টা সফল হবে।