প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা সংকট মোকাবেলায় মূল কাজ হলো মানুষকে সচেতন করা। মানুষকে সচেতন করা গেছে বলেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবন থেকে ৬৪ জেলার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তা লুকানো যাবে না। উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে টেস্ট করাতে হবে। লুকাতে যেয়ে নিজের সর্বনাশ করবেন না, পরিবারের সর্বনাশ করবেন না।
তিনি আরও বলেন, করোনা প্রতিরোধে দেওয়া নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে মেনে চলবেন। জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, সরকারি ও বেসরকারি সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের কাছে আমাদের খাদ্য ও চিকিৎসাসহ সব ধরনের সাহায্য পৌঁছে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, তারা যেন অভুক্ত থেকে না যায়।
বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের পর আসন্ন বিশ্বমন্দা কাটিয়ে উঠতে দেশবাসীকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা পরবর্তী বিশ্ব মন্দা মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। কারো আবাদি জমি ও জলাশয় যেন পড়ে না থাকে। যার যেখানে যতটুকু জমি আছে সেখানে যে যা পারেন চাষ করুন।
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে অনেকে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছেন বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর দেশবাসীর কাছে তিনি অনুরোধ করে বলেন, আপনারা গুজব ছড়াবেন না, গুজবে কান দিবেন না, বিচলিত হবেন না।
করোনার সংক্রমণ এড়াতে আসন্ন পহেলা বৈশাখে জনসমাগম এড়ানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বাইরে অনুষ্ঠান না করতে পারলেও বাংলা নববর্ষে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় অনুষ্ঠান করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমাদের স্কুল-কলেজ বন্ধ। কিন্তু সংসদ টিভির মাধ্যমে আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস করার সুযোগ করে দিয়েছি। ঠিক একইভাবে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করেও আপনারা গান-বাজনা করতে পারেন। ডিজিটাল মাধ্যমে অনুষ্ঠান করে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিন।
পাশাপাশি এই পরিস্থিতিতে দ্রব্যমূল্য যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে সেদিকে নজর রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানান তিনি।
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি অফিসে টানা ১০ দিনের ছুটি চলছে। সব কিছু বিবেচনা করে ছুটি সীমিত আকারে বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।