আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়ে বেশিরভাগ বাচ্চারাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। মূলত এই কারণেই চিন্তায় পড়তে হয় অধিকাংশ বাচ্চাদের বাবা মায়েদের। তবে এই সকল বিষয় থেকে খুব সহজেই ঘরোয়া উপায়ে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
চিকিৎসক বিজয় কৃষ্ণ সরকার জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়ে সারাদিন গরমের অনুভূতি হয় এবং রাতের দিকে ঠান্ডা রাখতে শুরু করে। এই সময় বাচ্চারা অধিকাংশই অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে এই সকল বিষয় থেকে খুব সহজেই পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। মূলত বাচ্চাদের খাওয়ার দাবারের উপর বিশেষ নজর দেওয়া উচিত এই সময়। সম্পূর্ণ ঘরোয়া খাবারের ওপরের ভরসা করা উচিত আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়।
তিনি আরও জানান, “একটা সময় কোভিড ভাইরাসের আক্রমণে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য হয়েছিল। তবে কোভিড চলে যাওয়ার পর থেকেই সেই সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মানুষের মধ্যে থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে। তবে এই সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মানলে যে কোন রোগের থেকে খুব সহজেই পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। পর্যাপ্ত স্যানিটাইজেশন এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা যে কোনও রোগ থেকে দূরে রাখতে পারে যেকোন মানুষকে। এছাড়াও মরশুমি শাকসবজির ও ফলের ওপর অনেকটাই জোর দেওয়া উচিত সকলের। এই সমস্ত খাবার জিনিসের মধ্যে প্রকৃতিগতভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার উপাদান রয়েছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাচ্চারা এবং বড়রা এই বিষয়টি উপেক্ষা করে যান।”
সবশেষে তিনি জানান, “একান্তই বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ে তবে প্রাথমিকভাবে ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমে চিকিৎসা করানো উচিত। এর জন্য চিন্তিত হয়ে পড়ার কোন কারণ নেই। তবে অসুস্থতার লক্ষণ এর উপর ভিত্তি করে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ওষুধ প্রদান করতে হবে। মূলত এই সময় বাচ্চাদের জ্বর, সর্দি ও কাশি লেগে থাকে। সেক্ষেত্রে জ্বরের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্যারাসিটামল ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও হোমিওপ্যাথিক ওষুধের ক্ষেত্রে ইনফ্লুয়েঞ্জা ৩০ নামের একটি ওষুধ রয়েছে। এটিও বেশ কার্যকর। তবে বাচ্চার শারীরিক পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে নিকটবর্তী কোন হাসপাতাল কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী।”