চট্টগ্রাম: চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেছেন যে বিরজমান করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসমূহ আর্থিক সংকটে পড়ে অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার সম্মুখীন। আমদানিকারকসহ ব্যবসায়ীদের সুযোগ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে অস্তিত্ব রক্ষায় সহায়তা করা এবং আমদানিকৃত পণ্য বন্দর থেকে দ্রুত ছাড়করণ, ঔষধ ও ভোগ্যপণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা নির্বিঘ্ন রাখা জরুরী।
আজ মঙ্গলবার সরকারের কাছে দেয়া এক পত্রে এই অভিমত ব্যক্ত করে এক গুচ্ছ প্রস্তাবনা দিয়েছেন তিনি।
পত্রে উল্লেখ করা হয়, আমাদানিকৃত প্রচুর পরিমান ফলমূল খালাসের অপেক্ষায় বন্দরে আটকে আছে রেডিয়েশন পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায়। জীবানু পরীক্ষার ব্যবস্থা দ্রুত করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
আমদানিকারকদের সহায়তা করার লক্ষ্যে মার্চ-মে ২০২০ ইং বন্দরের সমুদয় চার্জ এবং বিভিন্ন অফডক ও শিপিং এজেন্ট এর চার্জ মওকুফ, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ইত্যাদি ইউটিলিটি বিল সারচার্জবিহীন পরিশোধের জন্য জুন-২০২০ ইং পর্যন্ত সুযোগ দেয়া, মার্চ থেকে মে ২০২০ ইং পর্যন্ত আমদানি পর্যায়ে সব ধরণের ভ্যাট অব্যাহতি প্রদান, স্বল্প মেয়াদী মুলধনের সুদ ৯০ দিনের জন্য মওকুফ করা, ১ মাসের গ্যাস, বিদ্যুৎ বিল মওকুফ করা, জরুরী ঔষধ, চিকিৎসা সামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা এবং কেউ যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করতে না পারে তার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান মাহবুবুল আলম।
চেম্বারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ‘সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে’র কাছে এক পত্রে চেম্বার সভাপতি ঐসব প্রস্তাবগুলো দিয়েছেন।
কোন মন্ত্রণালয়ে তা উল্লেখ করেনি চেম্বার।
