বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাট্টা আল সিসি বলেছেন, “গাজার এখন ভয়াবহ পরিস্থিতি। কিন্তু মিশর এর মধ্যে নেই। ইজরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে নাক গলাতে চায় না মিশর। অন্য দেশের নাগরিকদের আমরা আশ্রয় দিতে পারব না। তাঁদের খরচ বহন করতে পারব না।”
গাজাবাসী যাতে মিশরের ভূখণ্ডে ঢুকতে না পারে সে জন্য ইতিমধ্যেই সীমান্ত বন্ধ করেছে মিশর। সেখানকার নিরপত্তাও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মিশরের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে। সীমান্তে হেলিকপ্টার উড়িয়ে চলছে নজরদারি। মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। এক দিকে ইজরায়েলের হামলা, অন্য দিকে নিজের দেশেই খাদ্য ও নিরাপত্তার অভাব, তার উপর মিশরের মুখ ঘুরিয়ে নেওয়া—সবমিলিয়ে এখন আরও বড় বিপদের অপেক্ষা করা ছাড়া গতি নেই গাজার বাসিন্দাদের।
একফালি ভূখণ্ড। সেখানেই ধর্ম আর রাজনীতি একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে তৈরি হয়েছে দীর্ঘ ঘটনা প্রবাহ। যে প্রবাহ অনেক রক্ত ঝরিয়েছে। অনেক আক্রমণ, প্রতি আক্রমণ দেখেছে। কত ঝড়ই না বয়ে গিয়েছে এ শহরের উপর দিয়ে। রাজায়-রাজায় যুদ্ধে আজ এই জনপদ বিধ্বস্ত, রক্তাক্ত। যে গুটিকয়েক মানুষ বেঁচে আছে তাঁরা আশ্রয়ের জন্য ছোটাছুটি করছে। কেউ সন্তানহারা, কারও সন্তান বোমার আঘাতে বিকলাঙ্গ। ক্ষতবিক্ষত, ক্ষুধার্ত মানুষগুলো কোথায় গিয়ে যে আশ্রয় নেবে তাও অজানা। সীমান্ত পেরিয়ে মিশরে যাওয়ার পথও অবরুদ্ধ। কারণ যুদ্ধপীড়িত গাজাবাসীকে আশ্রয় দিতে রাজি নয় মিশর। ইতিমধ্যেই এ কথা মিশরের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গাজা স্ট্রিপ তিন দিক দিয়ে ঘেরা ভূখণ্ড। দুদিকে রয়েছে ইজরায়েল এবং এক দিকে রয়েছে মিশর। বাকি এক দিকে রয়েছে সাগর। ইজরায়েলের আক্রমণ থেকে বাঁচতে মিশর সীমান্তে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করছেন গাজাবাসীদের একাংশ। কিন্তু গাজা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে রাজি নয় মিশর। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সীমান্ত। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।