ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য মিররের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই টেলিগ্রাম চ্যানেলের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে ‘প্রেসিডেন্ট যখন পড়ে যান, তখন টেবিল এবং বাসনপত্রে ধাক্কা লাগে। সেগুলি মেঝেতে পড়ে যায়। তার জেরে সজোরে শব্দ হয়।’ ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে যে মেঝেতে পড়েছিলেন পুতিন। সেইসময় যে চিকিৎসকরা কর্মরত ছিলেন, তাঁদের দ্রুত ডাকা হয়। তড়িঘড়ি রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের চিকিৎসা শুরু হয়।৭১ বছরের ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য বিশেষ মেডিক্যাল টিম তৈরি করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এই টেলিগ্রাম চ্যানেলে।
বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
বেডরুম থেকে কোনও সাড়া মিলছিল না ভ্লাদিমির পুতিনের। অগত্যা দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকে চমকে যান রুশ দেহরক্ষীরা। সংজ্ঞাহীন হয়ে মাটিতে পড়ে রয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তবে কি হৃদরোগে আক্রান্ত হলেন তিনি? বিশ্বজুড়ে এই খবরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে খবর বেরিয়েছে, রবিবার রাতের দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন পুতিন। সেদিন রাত ন’টার দিকে বেডরুম থেকে পুতিনকে উদ্ধার করেছেন নিরাপত্তারক্ষী। মেঝেতে পড়েছিলেন তিনি। পাশে উলটে ছিল টেবিল। খাবার ও পানীয় ছড়িয়ে পড়েছিল মেঝেতে।
৭১ বছরের ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য বিশেষ মেডিক্যাল টিম তৈরি করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এই টেলিগ্রাম চ্যানেলে। তাঁর বাসভবনেই চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে রুশ টেলিগ্রাম চ্যানেল সূত্রে খবর। সেখানে আরও জানানো হয়, আইসিইউতে রাখা হয়েছে পুতিনকে।
কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্টের কি সত্যিই হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল? ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জীবিত এবং সম্পূর্ণ সুস্থ। যা খবর রটেছে তা ভুয়ো।’ পেসকভের দাবি, সমস্ত আজগুবি খবর রটানো হচ্ছে। গত অগস্ট মাসেও খবর রটেছিল পুতিনের শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। তাঁর পেট থেকে জল বের করার জন্য নাকি অপারেশন করা হয়েছিল। ক্রেমলিন জানিয়েছে এসব খবরের কোনও সত্যতাই নেই। মিথ্যা গুজব রটানো হচ্ছে।