বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: বন্দরে জেটি খালি, অথচ বহির্নোঙরে জাহাজ অপেক্ষার প্রহর গুণছে ভিড়ার জন্য।
কন্টেইনার জাহাজ ভিড়ানো হয় এমন জেটি খালি রয়েছে। চিটাগাং কন্টেইনার টার্মিনাল ( সিসিটি ) ওয়ান, টু এবং থ্রি, নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল ( এনসিটি ) থ্রি থেকে জাহাজ নোঙর তোলার পর এগুলো শূণ্য। কোন জাহাজ নেই এগুলোতে।কন্টেইনার পরিবাহী জাহাজ ভিড়ানো হয় এনসিটি, সিসিটিতে।
এনসিটি, সিসিটি খালি থাকলেও ভিড়ার জন্য বহির্নোঙরে জাহাজ অপেক্ষমাণ রয়েছে। আমদানি পণ্যভর্তি কন্টেইনার বোঝাই করে আসা ১৭ টি জাহাজ অপেক্ষমাণ রয়েছে। জাহাজগুলো বার্থ পাওয়ার জন্য বহির্নোঙরে অপেক্ষা করছে।
একদিকে জেটি খালি আর অপরদিকে জাহাজ অপেক্ষমাণ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক জানান, বার্থিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে তা হচ্ছে। কোন প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত তা জানা নেই বলে উল্লেখ করেন।
বন্দর কর্তৃপক্ষের অপর একজন উর্ধতন কর্মকর্তা দাবি করেন যে চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আইএমও’র নির্দেশ অনুসারে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাদের সুস্পষ্ট নির্দেশণা রয়েছে যে সামাজিক দূরত্ব বজার রেখে কাজ করতে হবে শ্র্রমিকদের। প্রতিবেশি ভারত ইতিমধ্যে তাদের বন্দরসমূহে আইএমওর পরামর্শ অনুসরণ করে জাহাজ ভিড়ানো কমিয়ে দিয়েছে যাতে সামাজিক দূরত্ব রেখে শ্রমিকরা কাজ করতে পারেন। চট্টগ্রাম বন্দরও সেদিকে যাচ্ছে এবং আইএমও নির্দেশণা কঠোরভাবে প্রতিপালন করবে। এ কারণে জেটি খালি থাকা সত্ত্বেও জাহাজ বার্থ দেয়া হয়নি।
শিপিং সংশ্লিষ্টরা অবশ্য ভিন্ন অভিমত ব্যক্ত করেছেন। বন্দরে ইয়ার্ডে কন্টেইনার সংরক্ষণের ধারণক্ষমতা প্রায় পরিপূর্ণ। ৪৯ হাজার টিইইউস রাখার ক্ষমতার বিপরীতে ৪৫ হাজার টিইইউসের মত রয়েছে। সাধারণ ছুটি শুরু হওয়ার পর থেকে ডেলিভারি কমে যাওয়ায় কন্টেইনারের বিশাল স্তূপ জমেছে। ইতিপূর্বে প্রতিদিন যেখানে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার ডেলিভারি হতো, সেটা নেমে এসেছে সাত শ’ থেকে আট শ’য়ের মধ্যে। ইয়ার্ডের যেখানে জায়গা খালি পাওয়া গেছে সেখানেও রাখা হয়েছে কন্টেইনার। এরপরও অবস্থা সামাল দিতে না পারায় নেয়া হয়েছে এই ব্যবস্থা।
বন্দরের চট্টগ্রাম কন্টেইনার টার্মিনাল (সিসিটি) ও নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত সাইফপাওয়ারটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন বুধবার বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধিকে বলেছিলেন যে ডেলিভারিতে যে অবস্থা তা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে বৃহস্পতিবারের পর অচলাবস্থা তৈরির সমূহ আশংকা রয়েছে। কার্যত সেটা হয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের কমলাপুর আসিডিতেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। সেখান থেকে ডেলিভারি নেয়ার জন্য নির্ধারিত কনন্টইনার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পানগাঁও টার্মিনালে।