বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
নওগাঁ: মাঠে মাঠে এখন কৃষকের সোনালী স্বপ্ন বাতাসে দোল খাচ্ছে। সোনালী ধানের শীষে ভরে উঠেছে মাঠ। সেই সাথে রঙিন হয়ে উঠছে প্রান্তিক চাষিদের স্বপ্ন। মাঠ জুড়ে এখন সোনালী স্বপ্নের ছড়াছড়ি।
আমন মৌসুমে ফসলি জমিতে এখন শোভা পাচ্ছে স্থানীয় জাতের ধান, হাইব্রিড, উফশী স্বর্ণা ৫, ব্রি-ধান ২৮, ব্রিধান ৩৪, ব্রিধান ৪৯, ব্রিধান ৫১, ৫২, ৯৩, ৮৭, ৯৫ বেশ কয়েকটি জাতের রোপা আমন ধান।
ধানের সবুজ রঙে ভরে উঠেছে উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠ। বদলগাছী উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ। এ যেন হেমন্তের বাতাসে আমন ধানের সবুজ ঢেউ কৃষকদের মন ভরিয়ে দিচ্ছে। দোল খাচ্ছে ধান গাছের সবুজ পাতা এবং আধাপাকা শীষ।
কিছু কিছু শীষে শুরু হয়েছে দুধ-দানা গঠন। সবমিলিয়ে এ যেন রোপা আমন ধানের শীষে দোল খাচ্ছে এ এলাকার কৃষকের স্বপ্ন। গত মৌসুমে ধানের ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন কৃষক।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে ধানের আবাদ হয়েছে ১৪,৩৫০ হেক্টর জমিতে এবং লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪,৪০৫ হেক্টর।
কৃষদের পরিশ্রম ও স্থানীয় কৃষি অফিসের সহায়তা ও পরামর্শে এখন তারা প্রহর গুনছেন ধান পাকলে মাড়াই করে ঘরে তোলার। আর অল্প কিছু দিনেই মধ্যেই চলতি মৌসুমে কৃষকরা ধান ঘরে তুলতে পারবেন বলে ধারণা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
এদিকে কৃষকরা মাঠে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান গাছের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সবুজ ক্ষেতে বাতাসের দোল যেন কৃষকদের চোখে-মুখে যেন এক অন্য রকম প্রশান্তির আবরণ তৈরি করেছে।
উপজেলার হলুদ বিহার গ্রামের কৃষক আতিকুর রহমান বলেন, চলতি মৌসুমে আমি ১৪ বিঘা জমিতে উফশী জাতের ধানের আবাদ করেছি। কিছুদিন আগে মাজরা পোকার কিছুটা আক্রমণ হয়েছিল ক্ষেতে। স্থানীয় কৃষি অফিসারদের পরামর্শে কীটনাশক প্রয়োগ করে ভালো ফল পেয়েছি। এখন আর পোকার আক্রমণ নেই। আশা করছি ভালো ফলন পাবো।
বদলগাছী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাবাব ফারহান বলেন, কৃষি বিভাগ সব সময় কৃষকের পাশে ছিল এবং সঠিক সময়ে সঠিক পরামর্শ দেওয়ার কারণে পোকামাকড়সহ রোগ বালাই সহজেই দমন করা সম্ভব হয়েছে।