Home চট্টগ্রাম বিএনপি-জামায়াতীরা কোথায় আছে খোঁজ রাখার নির্দেশ

বিএনপি-জামায়াতীরা কোথায় আছে খোঁজ রাখার নির্দেশ

এ কে খান মোড়ে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছেন খোরশেদ আলম সুজন

হরতাল-অবরোধে ব্যর্থ বিএনপির সামনে নির্বাচনই একমাত্র অপশন: সুজন

চট্টগ্রাম: হরতাল-অবরোধে ব্যর্থ বিএনপির সামনে নির্বাচনই একমাত্র অপশন বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

বিএনপি-জামায়াত চক্রের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে জনগনের জানমাল রক্ষায় রবিবার (৫ নভেম্বর ২০২৩ইং) সকালে নগরীর এ কে খান মোড়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত মন্তব্য করেন তিনি।

এসময় সুজন বলেন জনগন বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখান রয়েছে। তাই নির্বাচনে যাওয়া ছাড়া দলটির আর কোন উপায় নেই। তারপরও তারা হরতাল-অবরোধের নামে অযথা নিরীহ জনগনের গাড়ি পোড়াচ্ছে। এর ফলে প্রতিনিয়ত তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। তাই তাদের উচিত জনভোগান্তি না করে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা। কিন্তু হরতাল-অবরোধের নামে গাড়ি ভাংচুর এবং আগুন দেওয়া তো আন্দোলন না বরং এটা সম্পূর্ণরূপে নাশকতা। আজ ভোরেও তারা পতেঙ্গায় একটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে। এর মাধ্যমে জনগনের স্বাভাবিক চলাচলে যারা বাঁধা সৃষ্টি করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানান তিনি। পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীদের আগামী দুই মাস চোখের ঘুমকে হারাম করে এসব নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে এলাকায় তৎপর হওয়ার আহবান জানান তিনি। এছাড়া বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা কে কোথায় আছে সে খবর রাখার নির্দেশনাও দেন তিনি।

তিনি আরো বলেন বিএনপির ভিতরও অনেক শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ আছে। তাদের উচিত তাদের দলকে নির্বাচনে নিয়ে আসা। এছাড়া নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় সে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের সাথে আলাপ আলোচনা করা।  তারা সেদিকে না গিয়ে অতীতের মতো ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে ক্রমশ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। তাই বিএনপি-জামায়াত চক্রকে আর কোনভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুশিয়ারি উচ্চারন করেন খোরশেদ আলম সুজন।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু, মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক লায়ন মো. হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, আকবরশাহ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান আহমদ, সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কাজী আলতাফ হোসেন, কাউন্সিলর নুরুল আমিন, কাউন্সিলর অধ্যাপক মো. ইসমাইল, জহির উদ্দিন মো. বাবর, পাহাড়তলী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আসলাম হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোজাফ্ফর আহমদ মাসুম, হালিশহর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক রেজাউল করিম কায়সার, আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াহিদুল আমিন, এরশাদুল আমিন, ৯নং পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক সরওয়ার মোর্শেদ কচি, যুগ্ম-আহবায়ক এরশাদ মামুন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু, আজম খাঁন, হারুনুর রশীদ, মো. ইলিয়াছসহ বিভিন্ন থানা আওয়ামী লীগ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রচুর নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি