প্রাকৃতিক কারণে এবারে লবণ উৎপাদন মওসুম কিছুটা পিছিয়ে। তাই ডিম আলুর মত যেন মানুষ, পশু এবং শিল্প-কারখানার জন্য অত্যাবশ্যকীয় এই পণ্যটি নিয়েও যেন সংকট তৈরি না হয় তার জন্য সরকার এখনই সতর্ক। ১ লাখ টন লবণ আমদানির জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ২৬৪টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা:প্রাকৃতিক কারণে এবারে লবণ উৎপাদন মওসুম কিছুটা পিছিয়ে। তাই ডিম আলুর মত যেন মানুষ, পশু এবং শিল্প-কারখানার জন্য অত্যাবশ্যকীয় এই পণ্যটি নিয়েও যেন সংকট তৈরি না হয় তার জন্য সরকার এখনই সতর্ক। ১ লাখ টন লবণ আমদানির জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ২৬৪টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেছেন বাজারে যেন লবণের কোনো ঘাটতি না হয় সেজন্য আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে ।
১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ মে পর্যন্ত পাঁচ মাস লবণ উৎপাদন মওসুম। ১৯৬১ সাল থেকে বিসিকের মাধ্যমেই দেশে পরিকল্পিতভাবে লবণ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে কক্সবাজারে অবস্থিত বিসিকের লবণ শিল্পের উন্নয়ন কর্মসূচি কার্যালয়ের আওতাধীন ১২টি লবণকেন্দ্রের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলার সব উপজেলা এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে লবণ চাষের জন্য চাষিদের প্রশিক্ষণ, ঋণ প্রদান এবং প্রযুক্তি সম্প্রসারণসহ সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
গত মওসুমে টেকনাফ, কক্সবাজার সদর, পেকুয়া, মহেশখালী, ঈদগাঁও, চকরিয়া, কুতুবদিয়া ও বাঁশখালীতে সমুদ্র উপকূলবর্তী ৬৭ হাজার একর জমিতে লবণ চাষ হয়। রেকর্ড পরিমাণ লবণ উৎপাদন হয়েছে সাড়ে ২২ লাখ মেট্রিক টন। ৬২ বছরের মধ্যে তা সর্বোচ্চ উৎপাদন। মজুত যথেষ্ট ছিল তাই কোরবানির সময়ও আমদানি করতে হয়নি।
গত লবণ মৌসুমে প্রথম উৎপাদন শুরু হয় ২৪ অক্টোবর। লবণ উৎপাদনের জন্য পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ (পিপিটি) ১৫ এর উপরে থাকতে হয়। ফলে সমুদ্র উপকূলীয় কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া, রামু, মহেশখালী, কক্সবাজার সদর, চকরিয়া, পেকুয়া, টেকনাফ এবং চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী লবণ উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত। সমুদ্রের পানি এবং সূর্যের তাপকে কাজে লাগিয়ে উৎপাদন করা হয় লবণ। ফলে আবহাওয়া লবণচাষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।