বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
মিরসরাই (চট্টগ্রাম): চলতি মওসুমে উপজেলায় আমন ধানের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯ হাজার ৭৭৫ হেক্টর। আর চাষাবাদ হয়েছে ১৯ হাজার ৮৫০ হেক্টরে। অনুকূল আবহাওয়া এবং লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে আবাদ হওয়ায় অধিক ফলন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
উপজেলা জুড়ে মাঠের পর মাঠে সবুজের সমারোহ। মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে সবুজ পাতা ও সোনালি শীষ। আর এসব আমনের সোনালি মাঠে ঢেউয়ে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মিঠানালা, মঘাদিয়া, খৈয়াছড়া, মায়ানী, হাইতকান্দি, ওয়াহেদপুর, সাহেরখালী, করেরহাট, হিঙ্গুলী, জোরারগঞ্জ, ওচমানপুর, ইছাখালী, কাটাছড়া, দুর্গাপুর ও মিরসরাই সদর ইউনিয়নে আমনের আবাদ করা হয়। তবে সবচেয়ে বেশি ইছাখালী ইউনিয়নে ৯৫০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ করা হয়েছে।
হিঙ্গুলী ইউনিয়নের মধ্যম আজমনগর গ্রামের কৃষকরা বলেছেন, ধানের যে পরিস্থিতি দেখছি যদি কোনো ধরনের দুর্যোগ না আসে তাহলে ভালো ফলনের ব্যাপারে আশাবাদী। এবার আমি প্রায় দেড়কানি (১৮০ শতক) জমিতে আমন চাষ করেছি। এখনও কাটার উপযোগী হয়নি। তার মধ্যে ২০ শতক জমির ধান পেকে আসছে।
উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নের চরশরত এলাকার কৃষক গনেশ চন্দ্র বলেন, প্রায় ১২০ শতক জমিতে আমনের চাষ করেছি। বৃষ্টির কারণে রোপা আমন লাগাতে দেরি হয়ে গেছে। আদৌ জমিতে রোপা লাগানো নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। জমিতে ধানের অবস্থা ভালো। আশা করছি এবারো ভালো ফলন হবে ইনশাআল্লাহ।’
ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ইছামতি এলাকার কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ধানচাষে আগের মতো লাভ হয় না। সার, কীটনাশকসহ সব উপকরণের দাম অনেক বেড়ে গেছে। এছাড়া শ্রমিকের মজুরিও আগের চেয়ে বেশি দিতে হয়। ধানের ভালো দাম না পেলে পোষাতে পারবো না।
মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, উপজেলা জুড়ে ১৬ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে উফশী জাতের, ২০০০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ও ১০৫০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের ধান আবাদ করা হয়েছে। এবার আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৫ হাজার ২৮০ মেট্রিট টন। জমিতে ধানের অবস্থা এখন খুব ভালো রয়েছে। শেষ পর্যন্ত যদি আবহওয়া অনুকূলে থাকে তাহলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে আশাবাদী।