নয়ন দাস, কুড়িগ্রাম থেকে: মহাবিপন্ন বাঘাইড় রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের কোন তৎপরতা নেই। দেশের বিভিন্ন স্থানে অবাধে মিঠা পানির এ মাছটি আহরণ ও বিক্রি হচ্ছে। অথচ আইন অনুসারে বাঘাইড় সংরক্ষিত বন্যপ্রাণী।
বাঘাইড়-এর বৈজ্ঞানিক নাম Bagarius yarrelli. এটাকে মহাবিপন্ন প্রাণী উল্লেখ করা হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) এর রেড লিস্টে। অনুযায়ী মিঠা পানির এ মাছটি ‘মহাবিপন্ন’। বাঘাইড়-এর বৈজ্ঞানিক নাম Bagarius yarrelli। অপরদিকে, বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর ২নং তফসিলভুক্ত একটি সংরক্ষিত বন্যপ্রাণী বাঘাইড়।
বাঘাইড় মাছ শিকার, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন কিংবা দখলে রাখা শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং এ অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ১ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ড হতে পারে।
নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও বাঘাইড় আহরণ বন্ধে কোন তৎপরতা নেই। তবে, জেলে এবং বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে নিষেধাজ্ঞা বা জরিমানার বিধান থাকা সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা নেই।
সাম্প্রতিক ঘটনা: শনিবার উলিপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন সাহেবের আলগার কাজিয়ার চর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে ৮৫ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় আহরণ করেছেন জনৈক জেলে মো. মহুবর রহমান। তিনি বলেন, শনিবার জালের মধ্যে একটি বিশালাকৃতির বাঘাইড় আটকে যায়। ওই সময় অনেক কষ্টে কয়েকজনসহ মাছটি ধরে ফেলি। হাতিয়া ইউনিয়নের মাছ ব্যবসায়ী মন্টু এক লাখ দুই হাজার টাকা দিয়ে সেটা কিনেছেন। ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে ১৩০০ টাকা কেজি দরে এক লাখ ১০ হাজার ৫০০ টাকায় হস্তান্তর করেছেন তিনি।