বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
নড়াইল: নড়াইল পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র আরিয়ান এবারে এসএসসি পরীক্ষার্থী। শহরের মহিষখোলা এলাকার মোহাম্মদ মোল্যার ছেলে। আলাদাতপুর এলাকার এক কিশোরীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে আরিয়ানের প্রেম। আরিয়ানের চেয়ে কিশোরীর পরিবারের আর্থিক অবস্থা এবং প্রভাব-প্রতিপত্তি অনেক বেশি। প্রেমের বিষয়টি মেয়ের পরিবার ও আত্মীয়- স্বজন মেনে নিতে পারেনি।
একদল সন্ত্রাসী মঙ্গলবার আরিয়ানকে বাসা থেকে প্রাইভেট কারে তুলে নিয়ে কাড়ারবিলের মাছের ঘেরে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডান পায়ের রগ কেটে দেয়। দুহাতও বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালায়। আরিয়ান পরিবারের অভিযোগ: ঐ কিশোরী প্রেমিকার মা নেপথ্যে থেকে এ নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে।
আহত আরিয়ান জানায়, গত মঙ্গলবার বিকেলে বাসায় ছিল সে। এ সময় আউড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম পলাশ বাড়িতে এসে আরিয়ানকে ডাকাডাকি করেন। কিছুক্ষণ পর দক্ষিণ নড়াইল এলাকার তুষার শেখ (৩৫) ও রয়েল মোল্যা (৩০) এসে আরিয়ানকে জোর করে প্রাইভেটকারে ওঠায়। এ গাড়িতে আরও দু’জন নারী ছিলেন। নড়াইল পুলিশ লাইনসের সামনে এসে ওই দুইজন নারী প্রাইভেটকার থেকে নেমে যান। এরপর আরিয়ানকে নড়াইল-গোবরা সড়কের কাড়ারবিলে মাছের ঘেরে নিয়ে যায় তারা। এ সময় তুষার, রয়েল ও এলান আরিয়ানের হাত-পায়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় আরিয়ানের ডান পায়ের রগ কেটে গেছে। আরিয়ান বলে, জীবন বাঁচতে ওদের (সন্ত্রাসী) হাত-পা ধরেছি, তবুও রক্ষা পাইনি।
নড়াইল জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আব্দুল গাফফার বলেন, ছেলেটির ডান পায়ের রগ কাটা (টেন্ডু একলিস্ট) পড়েছে।
আউড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম পলাশ বলেন, আরিয়ানের বাবা বিষয়টি (প্রেমঘটিত সমস্যা) মেটানোর জন্য আমাকে বলেছিলেন, এ কারণে আরিয়ানদের বাসায় গিয়েছিলাম। আমি চলে আসার পরে কি ঘটেছে সেটা জানি না।
নড়াইল সদর থানার ওসি ওবাইদুর রহমান বলেন, ঘটনাটি জানার একাধিক টিম অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে। তবে, ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত থানায় কোনো এজাহার দেয়া হয়নি।