Home কৃষি চোরের ভয়ে দিনে-রাতে পেঁয়াজক্ষেত পাহারা

চোরের ভয়ে দিনে-রাতে পেঁয়াজক্ষেত পাহারা

চোরের ভয়ে এভাবে পেঁয়াজ ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন কৃষকরা। ছবি সংগৃৃহীত

আজিজুল হাকিম

মানিকগঞ্জঃবাজারে পেঁয়াজের দাম বেশ ভাল তাই চোরদের নজর পড়েছে সেদিকে। মানুষ এখন কেবল রাতজেগে নয়, দিনেও পাহারা দিতে হচ্ছে পেঁয়াজ ক্ষেত। এমন অবস্থা হরিরামপুরে।

চলতি মৌসুমে হরিরামপুরে আগাম মুড়িকাটা বা শাখা পেঁয়াজের ভালো ফলন হয়েছে। চুরি হচ্ছে কৃষকের ক্ষেতের পেঁয়াজ। চোরের হাত থেকে পেঁয়াজ রক্ষায় দিনে ও রাতে পাহারা দিতে হচ্ছে কৃষকদের।

হরিরামপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, হরিরামপুরে চলতি মৌসুমে সাড়ে ৮০০ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ এবং প্রায় ২ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে হালি পেঁয়াজ আবাদ করা হয়েছে। গত বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে দেড়শ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা ও হালি পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। বাজারে আগাম মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৪ হাজার টাকায় প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণে চাষিরা কেউ কেউ পরিপক্ব হওয়ার আগেই কিছু পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি করছে। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে মুড়িকাটা পেঁয়াজে বাজার ভরে যাবে।

সরেজিনে দেখা যায়, পেঁয়াজ ক্ষেতের পাশে ছোট করে পলিথিন দিয়ে ছাউনি নির্মাণ করা হয়েছে। দিন ও রাতে পালাক্রমে হাতে লাঠি নিয়ে কৃষক-কৃষাণীরা ছাউনির নিচে বসে পাহারা দিচ্ছেন। চোরের হাত থেকে পেঁয়াজ রক্ষায় কনকনে শীত আর কুয়াশায় রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন চাষিরা।

উপজেলার পেঁয়াজচাষি আব্দুল মালেক বলেন, বেশি লাভের আশায় ৫ বিঘা জমিতে আগাম মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ করেছি; কিন্তু ইতোমধ্যে কিছু পেঁয়াজ রাতে চুরি হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে লাভের পরিবর্তে লোকসান গুণতে হবে।

হরিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. তৌহিদুজ্জামান খান বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে দেড়শ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বেশি আবাদ হয়েছে। পেঁয়াজ চুরির বিষয়টি স্থানীয় কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে জানতে পেরেছি।  পেঁয়াজ রক্ষায় এখন কৃষকরা দিনে ও রাতে পাহারা দিচ্ছে শুনেছি।’

এ বিষয়ে হরিরামপুর থানার ওসি শাহ নূরে আলম বলেন, চাষিদের পেঁয়াজ চুরির বিষয়টি শুনেছি। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।