বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
ভারত মহাসাগরে তেলবাহী জাহাজে ড্রোন হামলা হয়েছে। এরপর জাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। জাহাজটির মালিকানা বা পরিচালনার সাথে ইসরায়েলের সংযোগ রয়েছে।
গুজরাটের ভেরাভাল উপকূল থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এই ড্রোন হামলা হয়। সৌদি আরব থেকে অশোধিত তেল নিয়ে লাইবেরিয়া পতাকাবাহী ‘এমভি চেম প্লুটো’ ভারতের মুম্বাই আসার পথে গতকাল শনিবার হামলা হয়েছে। জাহাজটিতে ২০ জন ভারতীয় নাবিক রয়েছে। ড্রোন হামলার পর জাহাজটিতে আগুনও ধরে যায়। পরে তা নির্বাপণ সম্ভব হয়েছে। ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। জাহাজের পরিকাঠামোগত কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী ট্যাংকারটির সাথে ইজরায়েল যোগ রয়েছে । ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন্স জানিয়েছে, ড্রোন হামলার জেরে তীব্র বিস্ফরণ হয় জহাজের ডেকে।
ড্রোন হামলার সংবাদ পাওয়ার পরপরই ভারতের উপকূল রক্ষী বাহিনীর জাহাজ আইসিজিএস বিক্রম ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছে। এখন পর্যন্ত ঘটনার দায়দায়িত্ব কেউ স্বীকার করেনি। কয়েকদিন আগেই ভারতগামী এক জাহাজ অপহরণ করেছিল ইয়েমেনের হুথি জঙ্গি গোষ্ঠী। এরপর সম্প্রতি আবার আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের পাল্লায় পড়েছিল একটি পণ্যবাহী জাহাজ। আর এবার ভারতগামী আরও একটি জাহাজ ড্রোন হামলার শিকার হল। গুজরাট উপকূলের কাছে এই হামলার পরেই ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন্স সতর্কতা জারি করেছে। একটি বার্তায় বলা হয়েছে, এই অঞ্চল দিয়ে কোনও জাহাজ গেলে যাতে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।
এর আগে তুরস্ক থেকে ভারতের উদ্দেশে যাত্রা করা পণ্যবাহী জাহাজ হাইজ্যাক করা হয়েছিল লোহিত সাগরে। ইয়েমেনের জঙ্গি গোষ্ঠী হুথি সেই ঘটনার সাথে যুক্ত ছিল। বিভিন্ন দেশের প্রায় ২৫ জন নাগরিক সেই জাহাজে ছিল। অপহৃত জাহাজটির নাম ‘গ্যালাক্সি লিডার’। জাহাজটি ব্রিটিশ কোম্পানির মালিকানাধীন ছিল। এবং এটি পরিচালনা করছিল জাপানের একটি সংস্থা। এদিকে সেই জাহাজটি যে ব্রিটিশ সংস্থার, তার অংশীদার ছিলেন একজন ইজরায়েলি ধনকুবের আব্রাহাম উঙ্গার।
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের পর থেকে লোহিত সাগরে ড্রোন হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। নেপথ্যে রয়েছে ইরান সমর্থিত হুথি-গোষ্ঠী। হুথি জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হামাসের পক্ষে রয়েছে তারা। সে কারণে ইসরায়েলর সঙ্গে যোগ রয়েছে এমন বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চলবে। হুথির এই হুঁশিয়ারির কারণে ঘুরপথে আফ্রিকার দক্ষিণ দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে ইসরায়েলের বাণিজ্যিক জাহাজ। হোয়াইট হাউস স্পষ্টই এর নেপথ্যে ইরানের ‘যোগ’ দেখেছে। ইরানের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ রেজ়া নাকদি পাল্টা হুমকি দিয়ে জানিয়েছেন, গাজ়ায় আমেরিকা এবং তার জোটসঙ্গীরা ‘অপরাধ’ বন্ধ না করলে ভূমধ্যসাগর, জিব্রাল্টার প্রণালী দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হবে।