বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে আর্থিক অনুদান দেওয়া বন্ধ করে দিল আমেরিকা। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, আমেরিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে আর কোনও অনুদান দেবে না। কারণ, ট্রাম্পের অভিযোগ, করোনা ভাইরাস মহামারী মোকাবিলায় পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতার দায়িত্ব হু-কে নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে এক প্রেস কনফারেন্সে জানিয়েছেন, হু-কে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দিতে তিনি প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আমেরিকার থেকে জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হেডকোয়ার্টারে বিপুল পরিমান আর্থিক সাহায্য যায় আমেরিকার পক্ষ থেকে। এই আর্থিক সাহায্য বন্ধ হয়ে গেলে চাপ বাড়বে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওপর।
চিনের উহান শহর থেকে করোনা মহামারী শুরু হওয়ার কিছুদিন পর থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হন ট্রাম্প। তিনি অভিযোগ করেন, হু পুরো বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছে ও চিনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ট্রাম্প একাধিকবার বলেছেন, চিনের প্রতি হু পক্ষপাতমূলক আচরণ করে।
ট্রাম্প প্রথমদিকে এই মহামারীকে তেমন একটা আমল দেননি বলে আজ আমেরিকা এই রোগের এপিসেন্টার বলে তিনি নিজেও সমালোচনার মুখে। তবে প্রথম থেকেই ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও চিনকে তুলোধনা করে আসছেন। তিনি করোনা ভাইরাসকে চাইনিজ় ভাইরাস বলেও একাধিকবার উল্লেখ করেছেন বিভিন্ন প্রেস কনফারেন্সে।
আমেরিকা হু-কে সবচেয়ে বেশি আর্থিক সাহায্য করে। গত বছর আমেরিকা হু-কে ৪০০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছিল, যা হু-এর বাজেটের ১৫ শতাংশ মতো। ট্রাম্প এ দিন বলেন, ”আমরা যে সাহায্য করেছি, তা আদৌ কোনও কাজে লাগানো হয়েছে কি না তা নিয়ে আমাদের যথেষ্ট উদ্বেগ রয়েছে।”
ট্রাম্পের অভিযোগ, যখন চিনের উহানে এই মহামারী শুরু হয়, তখন হু যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়নি। এমনকী চিনকে আড়াল করার চেষ্টা করেছে হু। ট্রাম্পের বক্তব্য, হু যদি প্রথমেই চিনে বিশেষজ্ঞ পাঠাতো, চিনের স্বচ্ছতার অভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলত, তা হলে মহামারী এই মারাত্মক আকার নিত না। এত মানুষ প্রাণ হারাতেন না। বিশ্ব অর্থনীতি এই ভাবে ধসে যেত না।