বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
সিলেট: ভারতের মেঘালয় রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী মিঃ স্নিয়াভলং ধর ও তার সফর সঙ্গী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ. মাজেল আমপারীন লিংডোহ তামাবিল স্থলবন্দরে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
১৭ ফেব্রুয়ারি তাদের-কে তামাবিল চুনা পাথর,পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের পক্ষ থেকে এই সংবর্ধনা জানানো হয়।আমদানিকারক গ্রুপের নেতৃবৃন্দ এবং তামাবিল ইমিগ্রশন পুলিশ ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান।
শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। মেঘালয় রাজ্য বাংলাদশি পন্য রপ্তানী বিষয়ে স্থানীয় আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা সেই দেশের সরকারের সহযোগিতা চান।
আমদানিকারক গ্রুপের কার্যালয়ে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করে মেঘালয় রাজ্যের উপ-মূখ্যমন্ত্রী মিঃ স্নিয়াভলং ধর বলেন, জৈন্তিয়ার মাটি ও মানুষের সাথে মেঘালয় রাজ্যের ঐতিহাসিক ভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে সিলেট তথা জৈন্তিয়ার অনেক পর্যটক শিলং সফর করেন। বিদেশী পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সহজতর করতে ডাউকি স্থলবন্দরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশের অন্তত ৭টি জেলার সাথে মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত এলাকা রয়েছে। অবৈধ ব্যবসা-বাণিজ্য ও চোরাচালান প্রতিরোধে সীমান্তে বিএসএফ’র নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বৈধ ভাবে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানী ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি’তে মেঘালয় সরকার আন্তরিক ভাবে কাজ করছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেটে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) শকুন্তলা কাল্লা, সহকারি পুলিশ সুপার কানাইঘাট (সার্কেল) অলক কান্তি শর্মা, তামাবিল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারি পরিচালক পার্থ ঘোষ, তামাবিল কাস্টমস সুপার ( রাজস্ব কর্মকর্তা) সালেহ আহমেদ, তামাবিল চুনা পাথর,পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি এম লিয়াকত আলী, সহ-সভাপতি হাজি মো: জালাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার হোসেন (ছেদু), তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশের (ইনচার্জ) মো: রুনু মিয়া, তামাবিল চুনা পাথর,পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, নিবার্হী সদস্য জাকির হোসেন (আর্মি), আব্দুল করিম রাসেল, ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসাইন।
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী নেতৃত্বে মেঘালয় রাজ্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ১৫ ফেব্রুয়ারি বিমান পথে বাংলাদেশ সফরে আসেন। ঢাকার ধানমন্ডিতে ভারতীয় হাই কমিশন আয়োজিত ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার চত্বরে খাসিয়া বীর ‘ইউ তিরৎ সিং মোমোরিয়াল’ ম্যুরাল উন্মোচন অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করেন। ঢাকার অনুষ্ঠান শেষ সিলেটের তামাবিল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট হয়ে সড়ক পথে মন্ত্রী দ্বয়ে শনিবান বিকেলে মেঘালয়ে প্রত্যাবর্তন করেন।