জেরুসালেম, ২৩ মার্চ: ফের একবার ইসরাইলি দখলদারদের চোখরাঙানি ও সেনাবাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে পবিত্র আল-আকসা মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করলেন ধর্মপ্রাণ ফিলিস্তিনিরা। শুক্রবারের নামাজে আল-আকসা প্রাঙ্গণে ১ লক্ষ ২০ হাজার মুসল্লির জনসমুদ্র দেখা দেয়। নিরাপত্তাবাহিনীর ধমক ও বাধা পেরিয়ে পবিত্র রমজানে দ্বিতীয় জুম্মায় নামাজ আদায় করেন তাঁরা।
বিভিন্ন জায়গায় চেকপয়েন্ট বসিয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করেছে ইসরাইল। এছাড়া ওল্ড সিটির উন্মুক্ত গেটে লোহার ব্যারিকেড বসিয়েছে তারা। ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান হল আল-আকসা মসজিদ। তবে আল-আকসায় প্রবেশে মুসলিমদের যে একচ্ছত্র অধিকার রয়েছে সেটি কেড়ে নিতে চায় দখলদার ইসরাইল। অথচ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আল-আকসায় ইবাদতের জন্য একমাত্র মুসলিমদের অধিকারকেই স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু সেটির তোয়াক্কা করছে না নেতানিয়াহু সরকার।
পবিত্র রমজান মাসেও যেন মুসল্লিরা আল-আকসায় যেতে না পারেন সেজন্য সেখানে প্রবেশের আগে পূর্ব অনুমতির ব্যবস্থা করেছে ইসরাইল। এর আগে রমজানের প্রথম জুমায় আল-আকসায় ৮০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করেছিলেন। কিন্তু সেদিন মসজিদটিতে শুধুমাত্র ৫৫ বছরের বেশি বয়সি পুরুষ ও ৫০-এর উর্ধ্বের নারীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
গত বছরের অক্টোবরে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পরই আল-আকসায় মুসল্লিদের প্রবেশ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিল ইসরাইল। কিন্তু রমজান মাসে নমনীয়তা দেখাতে বাধ্য হচ্ছে তেল আবিব। যদিও ইসরাইলের ‘উগ্রবাদী’ মন্ত্রী বেন গভির চেয়েছিলেন রমজানেও যেন আল-আকসায় মুসল্লিদের প্রবেশ করতে না দেওয়া হয়। তবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু তার এ প্রস্তাবে রাজি হননি।