বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বিশ্বজুড়ে দেশগুলিতে কোথাও লকডাউন চলছে, কোথাও চলছে শাটডাউন। রাস্তায় যানবাহন নেই, কল–কারখানাও চলছে না। চাহিদা কমে যাওয়ায় জ্বালানি তেল নিয়ে বিপাকে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। উৎপাদিত তেল রাখার জায়গাও ফুরিয়ে আসছে তাদের। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেশটিতে ব্যারেল প্রতি তেলের দাম নেমে এসেছে নেতিবাচক সূচকে।
বার্তা সংস্থা বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে মজুত তেল রাখার যে পরিমাণ জায়গায় আছে তা মে মাস নাগাদ ফুরিয়ে যাবে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে তেল নিয়ে আরও বিপদে পড়তে পারে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটি।
চলমান লকডাউনে মানুষজন ঘরমুখী হয়ে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি তেলের চাহিদা কমে এসেছে ব্যাপক হারে। একই দৃশ্য বিশ্ব জুড়েও। এমন অবস্থায় ট্যাংকার ভাড়া এনে তাতে উদ্বৃত্ত তেল মজুত করছে যুক্তরাষ্ট্রের তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। আর চাহিদার চেয়ে জোগান মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় দেশটিতে ব্যারেল প্রতি তেলের দাম সোমবার নেমে আসে নেতিবাচক সূচকে।
নিউইয়র্কে মার্কিন অপরিশোধিত তেলের মে মাসের জন্য ট্রেডিংয়ে দাম শূন্য ডলারেরও নীচে চলে গেল। বাজার যখন বন্ধ হয়েছে, তখন মে মাসের তেলের জন্য ব্যারেল প্রতি দাম দাঁড়িয়ে –৩৭.৬৩ ডলার।গেল। এদিন নিউইয়র্কে তেলের ট্রেডিংয়ের সময় নাটকীয় ভাবে দাম পড়তে দেখা যায়। প্রথমে ব্লুমবার্গ জানায় ইউএস বেঞ্চমার্ক টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটে মে মাসের ডেলিভারির জন্য দাম ব্যারেল প্রতি ১ ডলার হয়ে গিয়েছে। দিন যত এগোয় তা আরও পড়তে থাকে। দাম হয়ে যায় ব্যারেল প্রতি ১ সেন্ট। তার পর ট্রেডিং বন্ধ হওয়ার সময় তা ব্যারেল প্রতি (-)৩৫.৬৩ ডলারে দাঁড়ায়। যার অর্থ যারা তেলের ট্রেডিং করে তাদেরই এখন মজুতের ব্যবস্থা করতে হবে।যুক্তরাষ্ট্রের তেলের দাম এমন নেতিবাচক হয়ে যাওয়াটাকে “খুবই অস্বাভাবিক’ হিসেবে দেখছেন সিএফআরএ রিসার্চের জ্বালানি শক্তি বিশ্লেষক স্টুয়ার্ট গ্লিকম্যান।