বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখার লক্ষ্যে সব কাস্টম হাউস ও কাস্টম স্টেশনসমূহে স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজস্ব ভবন। এই ব্যবস্থা বিশেষত চট্টগ্রাম বন্দরের জট পরিস্থিতি হ্রাসে সহায়ক হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব (কাস্টমস নীতি) মোহাম্মদ মেহরাজ-উল-আলম সম্রাট স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে আজ বুধবার এই তথ্য জানানো হয়েছে। এর ফলে ইতিপূর্বের আদেশের ফলে আমদানি করা বাণিজ্যিক পণ্য শুল্কায়ন ও খালাসে যে নিষেধাজ্ঞা তা প্রত্যাহার হলো।
সাধারণ ছুটি শুরু হওয়ার পর ২৬ মার্চ থেকে বাণিজ্যিক পণ্য শুল্কায়ন বন্ধ ছিল। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে চট্টগ্রাম বন্দরে। কন্টেইনার জট ও জাহাজ জটে বন্দরের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে যে সমন্বয় সভা হয় সেখান থেকেও অভিমত দেয়া হয়েছিল কাস্টম হাউস কার্যক্রম স্বাভাবিক করার। অর্থাৎ যাবতীয় পণ্য শুল্কায়ন করার ব্যবস্থা করতে সুপারিশ করেন স্টেকহোল্ডাররা। সাধারণ ছুটির সময় কেবলমাত্র নিত্যপণ্য এবং ওষুধ তৈরির কাঁচামাল শুল্কায়ন করা যাবে বলে অফিস আদেশ জারি করেছিল। তাতে বন্দরে অবস্থার অবণতি ঘটলে শিল্পের কাঁচামালসহ আরও বেশ কিছু পণ্য শুল্কায়ন ও খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়। তাতেও কোন সুফল মেলেনি। এসব প্রেক্ষাপটে আজ স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিলো রাজস্ব ভবন। এরফলে সব পণ্য শুল্কায়ন ও খালাস শুরু হলে চট্টগ্রাম বন্দরের অচলাবস্থা কেটে যাবে বলে আশা করছেন স্টেকহোল্ডাররা।
অফিস আদেশে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনার সময় করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুসরণ করা এবং যথাযথ প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার অনুরোধ জানানো হয়।