ব্যারিস্টার সুমন কোটাবিরোধী আন্দোলনের শুরুর দিকে ছাত্রদের পক্ষে কথা বললেও শেখ হাসিনার পতনে ছাত্র-জনতার এক দফা আন্দোলন শুরু হলে তিনি এর বিরোধীতা করেন।
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: মিরপুর মডেল থানা পুলিশ হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হককে গ্রেপ্তার করে পল্লবী থানায় রেখেছে। সোমবার দিবাগত রাত ১টা ২১ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আমি পুলিশের সাথে যাচ্ছি। দেখা হবে আদালতে। দোয়া করবেন সবাই।
ব্যারিস্টার সুমন কোটাবিরোধী আন্দোলনের শুরুর দিকে ছাত্রদের পক্ষে কথা বললেও শেখ হাসিনার পতনে ছাত্র-জনতার এক দফা আন্দোলন শুরু হলে তিনি এর বিরোধীতা করেন।
বিগত কয়েক বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি আর অসঙ্গতি তুলে ধরে আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। এক সময়ে কেন্দ্রীয় যুবলীগে পদ পেলেও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে থানার ওসির দলীয় স্লোগান দেওয়ার সমালোচনা করে পদ হারান তিনি।
মিরপুর থানাসুত্রে জানা যায়, মিরপুর থানায় দায়ের হত্যা মামলায় সায়েদুল হক সুমনকে সোমবার মধ্যরাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে মিরপুর থানা কম্পাউন্ডে সংস্কার কাজ চলায় ওই আসামিকে পল্লবী থানায় রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার সময় ছাত্র হত্যার এক মামলায় ব্যারিস্টার সুমনকে মিরপুর-৬ নম্বরে তার বোনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাত ১টা ২১ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তা দেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বার্তার ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, আমি পুলিশের সাথে যাচ্ছি। দেখা হবে আদালতে। দোয়া করবেন সবাই।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, প্রথমেই জানাতে চাই আমি দেশেই রয়েছি। ঢাকা শহরেই আছি। ৫ আগস্টের পর আমি কোথাও যাইনি। শুধুমাত্র নিরাপত্তার কারণে আমি গোপনে ছিলাম।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর অনেকেই আমাকে বলেছেন যে তুমি বিদেশে চলে যাও। কিন্তু যাইনি। আমার কাছে মনে হয়েছে যে আমি কোনো দিন দুর্নীতি করিনি। ঢাকা শহরে আমার কোনো প্লট ও ফ্লাট নেই। তারপরও কেন আমি দেশ ছেড়ে যাব।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমার নামে যদি কোনো মামলা হয়ে থাকে তাহলে তা আইনের মাধ্যমে মোকাবিলা করব। যেহেতু আমি আইনজীবী, আইনের প্রতি আমার বিশ্বাস রয়েছে।