Home Second Lead সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন গ্রেপ্তার

সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন গ্রেপ্তার

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: রোববার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর (গোয়েন্দা) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স থেকে পাঠানো এক বার্তায় নিশ্চিত করা হয়েছে। কোন মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা জানা যায়নি।

মোশাররফ হোসেন চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানায় ৬ অক্টোবর মোশাররফ হোসেন, তাঁর ছেলে মাহবুব উর রহমান, বারৈয়াহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিমসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইফতেখার উদ্দিন মাহমুদ। মামলায় ২০২২ সালের ১১ এপ্রিল পৌর বাজারের খান সিটি সেন্টার এলাকায় বাদীর ওপর হামলা, মারধর ও আটক করে টাকা আদায়ের অভিযোগ করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১৫ থেকে ২০ জনকে।

গত ২০ অক্টোবর সাবেক মন্ত্রী মোশাররফ হোসেনসহ ৩৫ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করা হয়।  চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় হয় এ মামলা।

ওই মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, বিগত ২০২৩ সালের ৫অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ কেন্দ্রীয় নেতাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোড মার্চ করে চট্টগ্রাম যাওয়া পথে তাদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য পৌরসভার গাছ মার্কেট এলাকায় উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১০০/১৫০ জন নেতাকর্মী অবস্থান করেন।

এসময় কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়ী পৌঁছালে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও তার ছেলে সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব রহমান রুহেলের নির্দেশে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, এনায়েত হোসেন নয়ন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, বারইয়ারহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র রেজাউল করিম খোকনের নেতৃত্বে লোহার রড, রাম দা, কিরিচ, লাঠিসোঠাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহাসচিবে গাড়ী বহর ও উপস্থিত নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে।

আসামিরা ৫-৮টি গাড়ীর সামনের ও পিছনের গ্লাস ভাঙচুর করে ৫ লাখ টাকার ক্ষতি করে। হামলায় মামলার স্বাক্ষী জসিম উদ্দিন ও আলমগীর হোসেন গুরুতর আহত হন।