বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: কন্টেইনারবাহী বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজটি চালু হলো বৃহস্পতিবার। কত বড় এটা? ৪টি ফুটবল মাঠের সমান। সহজে বহন করতে পারবে প্রায় ২৪ হাজার কন্টেইনার। পাশাপাশি এসব কন্টেইনার সাজালে মোট ৯০ মাইল দৈর্ঘ হবে। অর্থাৎ চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব।
জাহাজটির নাম এইচএমএম আলজেসাইরাস। কোরিয়ান কোম্পানি এইচএমএম (হুন্দাই মার্চেন্ট মেরিন) জাহাজটির মালিক। তৈরি করেছে দাইয়ূ শিপবিল্ডিং এন্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং( ডিএসএমই)। তাদের ইয়ার্ডে বৃহস্পতিবার হস্তান্তর করা হয়েছে আনু্ষ্ঠানিকভাবে। তখন উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন।

কন্টেইনারবাহী সর্ব বৃহৎ জাহাজ ছিল মেডিটেরিয়ান শিপিং কোম্পানি (এমএসসি)’র মালিকানাধীন গুলসান। কন্টেইনার পরিবহন ক্ষমতা ২৩,৬৫৬ টিইউস। সেটার চেয়ে আলজেসাইরাস ৩০০ টিইউস বেশি পরিবহন করতে পারবে।
বিগত দু’বছর ধরে খারাপ অবস্থা বিশ্ব শিপিং বাণিজ্যের। কার্গো কমে গেছে, সেই সঙ্গে ফ্রেইটও। এমন অবস্থার মধ্যে দুনিয়াজুড়ে করোনাভাইরাসের সন্ত্রাস আর খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। লাইনার অপারেটররা প্রায় ৪০০ ট্রিপ বাতিল করেছে। এ রকম সময়ে এইচএমএম দৈত্যকায় বিশাল জাহাজটি চালু করলো। অবশ্য এটা নির্মাণ করতে দেয়া হয়েছিল প্রায় ২ বছর আগে।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে এইচএমএম পরিবেশবান্ধব ২০টি বৃহদাকার জাহাজ তৈরি করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় কোরিয়ার ৩টি শিপইয়ার্ডের সাথে। হুন্দাই হ্যাভি ইন্ডাস্ট্রিজ, ডিএসএমই এবং সামসাং হ্যাভি ইন্ডাস্ট্রির সাথে। এগুলোর মধ্যে ১২ টি ছিল ২৪ হাজার টিইউস কন্টেইনার পরিবাহী। সেগুলোর প্রথমটি হলো এইচএমএম আলজেসাইরাস, হস্তান্তর করা হলো বৃহস্পতিবার। জাহাজটি এশিয়া-ইউরোপ পথে ব্যবসা করবে পানামা ফ্ল্যাগে। তবে, শিপিং বাণিজ্যে বিরাজমান দুঃসময়ের মধ্যে সক্ষমতা কতটুকু কাজে লাগাতে পারবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
৫ বছরে প্রায় ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লোকসান গুণেছে এইচএমএম। বিশ্বে কন্টেইনার পরিবহন বাজারের ১.৯ ভাগ তাদের। তবে, এইচএমএম ডেনমার্কের এপি মুলার,মার্সক,এ/এস, সুইজারলেন্ডের মেডিটেরিয়ান শিপিং কোম্পানি থেকে অনেক পেছনে। গত জুলাইয়ে তারা জার্মানির হ্যাপাগ লয়েড এজি, সিঙাপুরের ওসেন নেটওয়ার্ক এক্সপ্রেস ( ওএনই ) এবং তাইওয়ানের ইয়াংমিন মেরিন ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের সমন্বয়ে যে জোট সেটার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।