Home ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্রাটের নাতি ভিক্ষা করতেন দিল্লিতে

সম্রাটের নাতি ভিক্ষা করতেন দিল্লিতে

বাহাদুর শাহ জাফর

শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর ও তার পরিবারকে রেঙ্গুনে নির্বাসনে পাঠানো পর থেকে তার পরিবারের প্রায় সব খরচ খরচাই দিত ব্রিটিশ সরকার।

জওয়াঁ বখতের ছেলেমেয়েদের মধ্যে সবথেকে বড় সন্তান জামশিদ বখত। বিয়ের আগে তাকে মাসিক ১৫০ টাকা করে পেনশন দিত সরকার।

বিয়ের পরে মাসিক ২৫০ টাকা করে, বাড়ি ভাড়া ইত্যাদির জন্য আরও মাসিক ১০০ টাকা আর তার স্ত্রীর জন্য ১০০টাকা পেনশন ধার্য করে।

মুঘল বংশের যেসব সদস্য বেনারস বা দিল্লিতেই থেকে গিয়েছিলেন, মাসিক ভাতা পেতেন তারাও।

সেই পেনশনের পরিমাণ ছিল কারও জন্য মাসিক পাঁচ টাকা, কেউ পেতেন সাত বা ১০ টাকা।

ভারত সরকারের ১৮৯৯ সালের বিদেশ দফতরের একটি নথি পাওয়া যায়, যেখানে দেখা যাচ্ছে যে দিল্লির সাবেক রাজপরিবারের ৩৬ জন নারী সদস্যের জন্য মাসিক পাঁচ টাকা করে পেনশন মঞ্জুর করা হচ্ছে।

ইতিহাসিবিদ হাসান নিজামি তার বই ‘বেগমাৎ কে আসুঁ’ বইতে দিল্লির এমন এক ভিখারির কাহিনী লিখেছেন, যাকে সন্ধ্যের অন্ধকারে ভিক্ষা করতে বেরতে হত।

“সেই ভিখারি কাল্লু খাস কি হাভেলি থেকে বেরিয়ে লাঠিতে ভর দিয়ে, পক্ষাঘাতগ্রস্ত পা টেনে টেনে, খুব ধীরে ধীরে সোজা জামা মসজিদের দিকে চলে যেতেন। একেক মিনিট পর পর তিনি হাঁক দিতেন, ‘হে আল্লা, দয়া করে আমাকে এক টাকার মতো আটা জুগিয়ে দিন। শুধু আপনিই পারেন দান করতে..’

“হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া দিল্লির বাসিন্দারা কেউই জানত না যে তিনি সম্রাটের আসল নাতি, এবং তার নাম মির্জা কামার সুলতান,” লিখেছেন হাসান নিজামি।

-বিবিসি