Home আইন-আদালত স্বামীর বাড়িতে আত্মীয়–বন্ধু এনে রাখা ‘অত্যাচার’

স্বামীর বাড়িতে আত্মীয়–বন্ধু এনে রাখা ‘অত্যাচার’

বিবাহ–বিচ্ছেদ মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট-এর পর্যবেক্ষণ

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: স্বামীর আপত্তি সত্ত্বেও স্ত্রীর আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুরা যদি নিয়মিত বাড়িতে আসেন এবং থাকতে শুরু করেন, তা হলে তাকে স্বামীকে ‘অত্যাচারের’ সামিল বলেই মনে করে হাইকোর্ট। সম্প্রতি একটি বিবাহ–বিচ্ছেদের মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট স্বামীর পক্ষে রায় দিয়ে এমনই পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে।

এই একই অভিযোগে এর আগে স্বামীর দায়ের করা ডিভোর্সের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল নিম্ন আদাললত। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে তিনি হাইকোর্টে মামলা করেন। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ স্বামীর তোলা ‘অত্যাচারের’ অভিযোগের নেপথ্যে যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে বলে মনে করে। কোর্টের বক্তব্য, স্বামীর আপত্তি থাকার পরেও যদি স্ত্রী বাড়িতে নিয়মিত আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুবান্ধব এনে রাখেন, তা হলে অত্যাচারের অভিযোগ অস্বীকার করা যায় না।

অভিযোগকারী ব্যক্তির বিয়ে হয় ২০০৫–এ। কিন্তু বিয়ের মাত্র তিন বছরের মাথায় তিনি বিবাহ–বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ, বিয়ের একবছর পর থেকে কোলাঘাটে থাকতে শুরু করেন দম্পতি। কিছু দিন পরে চাকরিসূত্রে স্ত্রী উত্তরপাড়ায় যান। তার পর আর বাড়িতে ফিরতে চাননি তিনি।

স্বামীর দাবি, সেই সময়ে স্ত্রীর যুক্তি ছিল, যে হেতু তাঁর অফিস শিয়ালদহে, সে হেতু উত্তরপাড়ায় থাকাই ভালো। অভিযোগকারীর দাবি, তিনি তাতে আপত্তি করায় কোলাঘাটের বাড়িতে নিয়মিত আত্মীয়স্বজন এবং মহিলা বন্ধুদের নিয়ে গিয়ে থাকতে শুরু করেন স্ত্রী। অন্যদিকে স্ত্রীর অভিযোগ, তাঁর মায়ের পেনশন এবং তাঁর নিজের বেতনের টাকা নেওয়ার জন্য চাপ দিতেন স্বামী।

নিম্ন আদালত স্বামীর বিবাহ–বিচ্ছেদের আবেদন খারিজ করে দিলেও হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, দীর্ঘদিন স্বামী–স্ত্রী ভিন্ন জায়গায় থাকার ফলে দু’জনের দাম্পত্য জীবনেও নেতিবাচক প্রভাব পরেছে। এর পরেই নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে স্বামীর আবেদনে মান্যতা দেয় হাইকোর্ট।