বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
কিছুদিন আগে চিন ঘোষণা করেছিল, তারা করোনামুক্ত। শেষতম রোগীটিও নাকি সেরে উঠেছেন। এসবের মাঝেই নতুন করে বিপদের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিলেন নিউ ইয়র্ক থেকে আসা এক ছাত্রী, যাঁর দেহে নতুন করে মিলেছে করোনাভাইরাসের সন্ধান। তাঁর থেকে আক্রান্ত হয়েছেন হারবিন শহরের আরও ৭০ জনের বেশি মানুষ। ফলে কোটি মানুষ বাস করা সে শহর নতুন করে ফের লকডাউন করা হয়েছে।
চিনের উত্তরতম প্রান্তের হেইলংদিয়াং প্রদেশের একটি জনবহুল শহর হারবিন। কোটি খানেক মানুষের বাস সেই একটি শহরে। মার্চ মাসের মাঝামাঝি সেই শহরেই ফেরেন এক ছাত্রী। নিউ ইয়র্ক থেকে হংকং ও বেজিং হয়ে হারবিনে ফেরেন তিনি। কোনও এয়ারপোর্টেই প্রাথমিক পরীক্ষায় তাঁর দেহে সংক্রমণের কোনও সন্ধান মেলেনি। কিন্তু পরে উপসর্গ দেখা দেয়। এবং আশঙ্কা সত্যি করে ধরা পড়ে, করোনায় আক্রান্ত তিনি।
এর পরেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় খোঁজ শুরু হয়, কার কার সংস্পর্শে এসেছেন তিনি। তালিকা বানিয়ে পরীক্ষা করা হয় সকলের। তাঁদের মধ্যে ৭০ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এর পরে পরীক্ষা করা হয়েছে আরও প্রায় হাজার চারেক নাগরিকের। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যানবাহন চলাচল, দোকানপাট, বিমান চলাচল। নতুন করে সতর্কতার সাথে শুরু হয়েছে থার্মাল স্ক্রিনিং। সমস্ত রকম জনসমাবেশ, অনুষ্ঠান আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত রোগী-সহ সন্দেহের তালিয়ায় থাকা সকলকে এবং তাঁদের পরিবারকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। এমনকি তাঁদের প্রতিবেশীদেরও আগামী দু’সপ্তাহ ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুধু হারবিনের এই ঘটনা নয়, সে দেশে আরও ১০ জন নতুন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। তাঁদের মধ্যে ৬ জন অতি সম্প্রতি বিদেশ থেকে ফিরেছেন। যথারীতি, বিমানবন্দরের স্ক্রিনিংয়ে ধরা পড়েনি অসুখ। চিনে ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এই মাসে সেখানে যতজন মানুষ বিদেশ থেকে এসেছেন সকলকে অন্তত ২৮ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে, সেইসঙ্গে প্রয়োজনীয় টেস্ট করাতে হবে।