শরীরের একটি অপরিহার্য উপাদান হল ভিটামিন ডি । তা শরীরের অভ্যন্তরেই উৎপন্ন হয়। ভিটামিন ডি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে ক্যালশিয়াম এবং ফসফরাস শোষণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে, বিভিন্ন সংক্রমণ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। আর ভিটামিন ডি-র উৎস হল সূর্যালোক। কিন্তু শীতকালে সূর্য খুব কম সময়ের জন্যেই থাকে। ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি শরীরে প্রবেশ করতে পারে না। তাতেই শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি তৈরি হয়। তবে নিয়মিত কিছু খাবার খেলে শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি মেটানো সম্ভব।
সামুদ্রিক মাছ
শীতের মরসুমে শরীরে ভিটামিন ডি-র সরবরাহ যাতে ব্যাহত না হয়, সে কারণে বেশি করে খেতে পারেন সামুদ্রিক মাছ। তেলাপিয়া, টুনা এই ধরনের মাছ রোজের ডায়েটে রাখলে ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়াম ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডেরও ঘাটতি মেটে।
ডিমের কুসুম
ডিমের কুসুম কিন্তু ভিটামিন ডি-এর খুব ভালো উৎস। শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা বাড়ে। শীতে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এই সমস্যা এড়াতে রোজের ডায়েটে ডিম রাখতে পারেন।
কিশমিশ
ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি এবং ফসফরাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু উপাদান রয়েছে কিশমিশে। যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভীষণ জরুরি।
দুগ্ধজাতীয় খাবার
দুগ্ধজাত খাবারে ভরপুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। তাই রোজ না হলেও সপ্তাহে অন্তত কয়েক দিন খেতে পারেন এই ধরনের খাবার। শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি তৈরি হলে, তা সহজেই পূরণ হবে।
বাংলাদেশে ভিটামিন ডি এর অভাব অত্যন্ত উদ্বেগজনকঃ
হাড়ের স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং জীবন মানের জন্য “ভিটামিন ডি” কে একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হয়, এবং ভিটামিন ডি এর অভাবে বিভিন্ন মারাত্মক অসুখ হতে পারে, যেমন রিকেটস, হাড়ের বিকৃত গঠন, অস্টিওম্যালেসিয়া এবং ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, পিঠে ব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ, মানসিক রোগ ইত্যাদিও হতে পারে। ভিটামিন ডি এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল ত্বকের ওপর সূর্যালোকের প্রভাব। এছাড়াও তৈলাক্ত মাছ, লাল মাংস, কলিজা, ডিমের কুসুম, বিভিন্ন রকমের সিরিয়াল, ভিটামিন ডি এর উত্তম উৎস। বলা হয়ে থাকে, সাধারনত সকলের (শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক, গর্ভবতী মহিলা, এবং স্তন্যদানকারী মা-সহ) ঘাটতি পূরণে প্রতিদিন মাত্র ১০ মাইক্রো গ্রাম ভিটামিন ডি এর প্রয়োজন।