Home জাতীয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য কালচারাল সেন্টার হচ্ছে লুম্বিনিতে

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য কালচারাল সেন্টার হচ্ছে লুম্বিনিতে

লুম্বিনীতে বোধিবৃক্ষ ও পুকুর। ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: নেপাল বাংলাদেশকে বিনামূল্যে ৬ একর জায়গা দিয়েছে। সেখানে ধর্ম মন্ত্রণালয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য কালচারাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করছে ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে।

‘কনস্ট্রাকশন অব বাংলাদেশ প্যাগোডা অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট কালচারাল কমপ্লেক্স অ্যাট লুম্বিনি কনজারভেটিভ এরিয়া, নেপাল’ নামক প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। সাত তলাবিশিষ্ট প্যাগোডা নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বৌদ্ধধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট।

গৌতম বুদ্ধ লুম্বিনির বিখ্যাত উদ্যানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। স্থানটি লুম্বিনি উন্নয়ন ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত যা, প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভ সংরক্ষণ আইন ১৯৫৬ দ্বারা সুরক্ষিত। ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

 শুক্রবার সকালে রাজধানীর উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টর বৌদ্ধ মন্দিরে ‘বোধিচারা’ প্রতিস্থাপন অনুষ্ঠানে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন জানান,  ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বৌদ্ধ কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় নেপালের লুম্বিনিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য কালচারার সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে সরকার। একনেকে মিটিংয়ে ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন কালচারাল সেন্টার এবং প্যাগোডা অনুমোদন দিয়েছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের একটা শ্মশান ব্যবস্থা হয়ে গেল। এটা এতদিন হয়নি। অনেক সরকার এসেছে, চলেও গেছে কিন্তু প্রফেসর ডক্টর ইউনূস সাহেবের সরকারের হাতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মহাশ্মশান উদ্বোধন হলো এটা আমাদের বিরাট সাফল্য। এর সঙ্গে আমি আরও বলতে চাই- আপনাদের কী কী প্রয়োজন এ নিয়ে একটি প্রজেক্ট তৈরি করে আমাদের কাছে দিন। ধর্ম ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় আমরা সবাই মিলে তা ব্যবস্থা করে দেব। তাছাড়া, আপনারা জানেন আমাদের এই বাংলাদেশ বহু বছর যাবৎ বৌদ্ধদের শাসনাধীন ছিল। শুধু বাংলাদেশ নয় অস্ট্রেলিয়ার কিনারা থেকে শুরু করে আফগানিস্তানের পশ্চিম পাশ পর্যন্ত কেবল কিছু সংখ্যক জায়গা ছাড়া পুরো জায়গা জুড়েই বৌদ্ধদের শাসনাধীন ছিল। বিশেষ করে মৌর্য বংশের শাসক সম্রাট আশোকের সময়।’

আমরা বহুমাত্রিক সমাজব্যবস্থায় বিশ্বাসী তাই নেপালে বৌদ্ধ সেন্টার ও তার কার্যক্রম তা প্রমাণ করে উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আসুন আমরা একে অপরের হাত ধরি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সৌহার্দ্য ভ্রাতৃত্ববোধের দেশ বাংলাদেশ। এটা বিশ্বাস করি এবং নিজের দেশকে ভালোবাসি। এ দেশ আমাদের সবার। একে অপরের হাত ধরে এই মাতৃভূমিকে অগ্রগতি উন্নতির পথে নিয়ে যাব এবং প্রফেসর ডক্টর ইউনূস সাহেবের হাতকে শক্তিশালী করে সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব।’ গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, সবার সহযোগিতা থাকলে সব রকমের সংস্কার করা সম্ভব হবে। জুলাই অভ্যুত্থানে সব ধর্মের মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে রক্ত দিয়েছে। সবার সহযোগিতা থাকলে সব রকমের সংস্কার করা সম্ভব হবে।