Home First Lead রাজধানীর বাতাসে আজ বিশ্বের সর্বোচ্চ দূষণ

রাজধানীর বাতাসে আজ বিশ্বের সর্বোচ্চ দূষণ

ছবি সংগৃহীত
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: রাজধানী ঢাকার বাতাসে আজ বিশ্বের সর্বোচ্চ দূষণ রয়েছে। সকালে তুলনামূলক কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে বায়ুদূষণের সূচকে বিশ্বের ১২৫টি শহরের মধ্যে শীর্ষে উঠে গেছে এই শহর। আজ সকাল ৬টায় ঢাকার বায়ুমান রেকর্ড করা হয় ছিল ২৫২। সকাল ৯টায় বায়ুমান গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৫ এ। মানসূচকে ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সোমবার সকালে দূষণের তালিকার শীর্ষে থাকা ভারতের কলকাতার বায়ুমান কমে ১৯১ এ দাঁড়িয়েছে। শীর্ষ পাঁচে রয়েছে মঙ্গোলিয়ার উলানবাটর, ভিয়েতনামের হ্যানয় ও পাকিস্তানের করাচি।
বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) দিয়ে বায়ুদূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্‌রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে দুই দশমিক পাঁচ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ (পিপিএম) যদি শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তাহলে ওই বাতাসকে বায়ু মানের সূচকে (একিউআই) ‘ভালো’ বলা যায়। এই মাত্রা ৫১-১০০ হলে বাতাসকে ‘মধ্যম’ মানের ও ১০১-১৫০ হলে ‘বিপদসীমায়’ আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। এ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। আর পিপিএম ১৫১-২০০ হলে বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১-৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ ও ৩০১-৫০০ হলে ‘বিপজ্জনক’ বলা হয়।
বিষেশজ্ঞদের মতে, ঢাকার ভয়াবহ বায়ুদূষণের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোযানবাহনের ধোঁয়া,,নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলা, শিল্পকারখানার নির্গত বর্জ্য, বায়ুর গতির কমে যাওয়া, তাপমাত্রার ওঠানামা এবং অন্যান্য আবহাওয়াগত কারণ।

তাদের মতে, এসব কারণে ঢাকার বায়ুদূষণ মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে, যা শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি, শ্বাসনালীর রোগ, হৃদরোগসহ নানা ধরনের গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে জনস্বাস্থ্যের ওপর এর দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।

বায়ুদূষণ বেশি হলে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকেন সংবেদনশীল গোষ্ঠীর ব্যক্তিরা। তাদের মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা ও জটিল রোগে ভোগা ব্যক্তিরা। তাদের বিষয়ে বিশেষ যত্নবান হওয়া দরকার বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।