আবাসিক ছাত্রীকে হলত্যাগের নির্দেশ,
বহিরাগত নারীকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ( কুষ্টিয়া): সমকামিতার অভিযোগে এক আবাসিক ছাত্রীকে হলত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে খালেদা জিয়া হল কর্তৃপক্ষ। একই ঘটনায় অপর এক বহিরাগত নারীকে পুলিশে দেয়া হয়েছে।
হলের নতুন ব্লকের ৩০৬ নম্বর কক্ষে অবস্থানকারী আবাসিক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ঐ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ঘটনা গত মঙ্গলবারের। হলের অন্য আবাসিক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন যে কক্ষটিতে নিয়মিত একজন বহিরাগত নারী অবস্থান করতেন। এদিন দুজনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেছেন তারা। সমকামিতার অভিযোগ এনে অন্য আবাসিক শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের কাছে শাস্তির দাবি জানান। এর প্রেক্ষিতে হল কর্তৃপক্ষ আবাসিক ছাত্রীটিকে হলত্যাগের নির্দেশ দেয় এবং বহিরাগত নারীটিকে পুলিশের হাতে দেয়।
হল কর্তৃপক্ষের আদেশে বলা হয়, খালেদা জিয়া হলের নতুন ব্লকের ৩০৬নং কক্ষের আবাসিক ছাত্রী মিম (ছদ্মনাম) কক্ষে বহিরাগত একজন মেয়ে মাঝে মাঝে অবস্থান করে। উক্ত কক্ষের ছাত্রীরা তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায় এবং বিষয়টি হল কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন। এমতাবস্থায় হল বডির জরুরি সভার সম্মুখে অত্র ফ্লোরের সকল ছাত্রীর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে উক্ত ছাত্রীকে হলত্যাগ করার নির্দেশ দেয়া হলো এবং বহিরাগত মেয়েকে পুলিশে দেয়ার সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হলো।
অবশ্য, অভিযুক্ত ছাত্রী উত্থাপিত অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, ‘হলে এই ব্যাপারটা নিয়ে যখন ঝামেলা হয় তখন আমি পরীক্ষার হলে পরীক্ষা দিচ্ছিলাম। তার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে আমি চার মাসের প্রেগন্যান্ট। অসুস্থতার কারণে আমি আমার বান্ধবীকে হলে আমার সাথে রেখেছিলাম। অভিযোগের ভিত্তিতে কোন ধরনের তদন্ত ছাড়াই আমাকে হল থেকে বের হয়ে যেতে বলা হয়েছে। হল থেকে আজই আমাকে বলা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে সমকামিতার অভিযোগ আছে তবে আমি অভিযোগের ভিত্তিতে প্রমাণ চাইলে হল কতৃপক্ষ প্রমান দিতে ব্যর্থ হয়। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি করা হয়েছে এর বিন্দুমাত্র প্রমাণ যদি কেউ দিতে পারে তাহলে আমি হল থেকে বের হয়ে যাবো।
আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি একদমই মিথ্যা ও বানোয়াট এমন কোন অবস্থাতেই আমাকে দেখা যায়নি।
এবিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জালাল উদ্দীন জানান, দুপুরের দিকে হলের মেয়েরা আমাদের অবহিত করলে শিক্ষার্থীদের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে জরুরি মিটিং ডেকে বহিরাগত মেয়েকে পুলিশি হেফাজতে আর আবাসিক শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে যেহেতু সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে, হল ত্যাগের ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী যদি ছাত্র উপদেষ্টা কিংবা প্রক্টর বরাবর দরখাস্ত দেয় তাহলে আমরা বসে আলাপ করতে পারি। ঐ রুমে বহিরাগত মেয়েটা অনেক বার আসছে বলে অধিকাংশ শিক্ষার্থী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে।