Home আইন-আদালত যৌন ফাঁদ পেতে অর্থ আদায় চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার

যৌন ফাঁদ পেতে অর্থ আদায় চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার

আটক হানি ট্র্যাপ চক্রের ৬ সদস্য। ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, যশোর: যৌন ফাঁদ পেতে অর্থ আদায় চক্রের ৬ সদস্য আটকা পড়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। চৌগাছা পৌর এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়েছে মঙ্গলবার রাতে।

জেলা পুলিশ জানিয়েছে, চৌগাছায় বাসা ভাড়া নিয়ে ‘হানি ট্রাপ বা যৌন ফাঁদ’ ফেলে অর্থ আদায় চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ে চৌগাছার রুস্তমপুর গ্রামের আব্দুর রহমান নামে এক যুবক। তাকে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে মহিলাকে দিয়ে ডেকে নিয়ে যায় চক্রটি।  ফাঁদে ফেলে তার কাছে মুক্তিপণ চাচ্ছে অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযানে নামে জেলা গোয়েন্দা টিম। এর আগে আবদুর রহমানকে চৌগাছা চান্দা আফরা গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়।

ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে ঐ ৬ জনকে। আটককৃতদের বুধবার আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়েছে। এরা হলেন: চৌগাছার যাত্রাপুর গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী রূপালী খাতুন, চৌগাছার উত্তরকয়ারপাড়া গ্রামের শাহজাহান আলী ছেলে নান্নু মিয়া, মহেশপুর উপজেলার মান্দারবাড়িয়া গ্রামের আয়ুব হোসেনের ছেলে জাহিদ হোসেন, চৌগাছা উপজেলার মনমতপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের দেলোয়ার হোসেন, একই গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে হৃদয় মহিফুল ও উত্তর কয়ারপাড়া গ্রামের নান্নু মিয়ার স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়, আটক রূপালী খাতুনের সঙ্গে ভিকটিম আবদুর রহমানের পূর্বপরিচয়ের একপর্যায়ে প্রলোভন দেখিয়ে মঙ্গলবার বেলা ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত থাকা ৭ থেকে ৮ জন ব্যক্তি আবদুর রহমানকে ঘরের ভিতরে নিয়ে এলোপাথাড়ি মারপিট শুরু করে। সেখান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে চান্দাআফরা গ্রামের জহুরুলের বাড়িতে আটকে রাখে।

আসামিরা ভিকটিমের সঙ্গে থাকা নগদ দুই হাজার চারশ’ টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। ভিকটিমের মোবাইল থেকে তার বড় ভাইয়ের কাছে মুক্তিপণ হিসাবে নগদ এক লাখ টাকা দাবি করে। এরপর ভিকটিমকে তারা আসামি জহুরুলের বাড়িতে আটকে রেখে বাদির কাছে বার বার মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না দিলে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয় চক্রের সদস্যরা।

মঙ্গলবার  রাত পৌনে ১০টার দিকে চৌগাছা পৌরসভার ধনী প্লাজার সামনে থেকে রুপালী খাতুনকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর অন্য আসামিদের নাম ঠিকানা বলে দেয়। পরে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা পুলিশের কাছে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই মোস্তাক হোসেন বাদি হয়ে চৌগাছা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।