বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
কক্সবাজার: টেকনাফে হানা দেয়া পোকাগুলো পঙ্গপাল নয়, ঘাসফড়িংয়ের প্রজাতি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কাশেম বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়ে বলেন, টেকনাফের ওই পোকার নমুনা সংগ্রহ করে ভিডিও করে বুধবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী মো. রুহুল আমিন ও দেবাশীষ সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তিনি ফোনে জানিয়েছেন, এটা মরুভূমির যে পঙ্গপাল, সে পঙ্গপাল না। এটা ঘাসফড়িংয়ের একটি প্রজাতি হতে পারে।
পঙ্গপাল উড়তে পারে, পাখাও রয়েছে। কিন্তু এ পোকাতে কোনো পাখা নেই এবং উড়তেও পারে না। এটি কালো রঙের পোকা।
তবে কুরিয়ার সার্ভিসের সমস্যার কারণে পোকাটির নমুনা বৃহস্পতিবারও গাজীপুর কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে পাঠানো যায়নি বলে জানান তিনি।
টেকনাফের এক এলাকায় কয়েক দিন আগে পোকা হানা দেয়। শত শত পোকা দল বেঁধে একের পর এক গাছের পাতা খেয়ে ফেলে সেখানে। লম্বারী পাড়ার সোহেল সিকদার বলেন, ১৮ এপ্রিল বিকালে হঠাৎ করে আমার বাগানের কিছু গাছে পোকা দেখতে পাই। পোকাগুলো গাছের পাতা নিমেষেই শেষ করে দিচ্ছে। এ পোকা আগে কোনোদিনও দেখিনি।
২২ এপ্রিল কৃষি কর্মকর্তা এসব পোকা পর্যবেক্ষণ করে ‘রিপকর্ড’ কীটনাশক ব্যবহার করে মেরে ফেলেন । প্রথমে কীটনাশক ছিটিয়ে পোকাগুলো মেরে ফেললেও অনেক পোকা থেকে যায়। যা পরবর্তীতে আবারও গাছে আক্রমণ করে।
বিষয়টি জেলা কৃষি কর্মকর্তাকে জানালে তিনি সরজমিনে পরিদর্শন করেন এবং কিছু নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান। বৃহস্পতিবার আবার কীটনাশক ছিটিয়ে প্রায় ৯৮ শতাংশ পোকা ধ্বংস করেছেন বলে জানান তিনি।