বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: হোয়াইট হাউসে ওভাল অফিসে হওয়া বৈঠকে তীব্র বাদানুবাদে জড়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শুক্রবার বৈঠক শেষ না করেই হোয়াইট হাউস ছাড়েন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান কীভাবে সম্ভব, সেই লক্ষ্যে গতকাল বৈঠক চলছিল। পাশাপাশি আলোচনায় ছিল ইউক্রেনের সমৃদ্ধ খনিজ ভাণ্ডারও। এবিষয়ে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে গতকাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করে দিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ থামাতে হলে কিছু আপস করতে হবে ইউক্রেনকে। যা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেই বাদানুবাদ হয় দুই রাষ্ট্রনেতার।
হোয়াইট হাউস সূত্রে দাবি, ট্রাম্প জেলেনস্কিকে জানিয়েছেন, তিনি নিরপেক্ষ থেকে দু’দেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে চান। তবে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করতে হলে খানিকটা আপস করতে হবে ইউক্রেনকে।
ট্রাম্পের এই কথায় শুরু হয় বাদানুবাদ। ট্রাম্পের কথায়, চুক্তিবদ্ধ না হলে ইউক্রেনের সঙ্গে থাকবে না আমেরিকা। একাই তাদের এই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তবে জেলেনস্কিও স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাঁরা কোনওরকম সমঝোতায় রাজি নয়।
এদিকে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মাঝেই ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেন, ‘আপনাকে আমেরিকার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা উচিত।’ তার উত্তরে জেলেনেস্কি বলেন, ‘অনেকবার আমেরিকার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি।’ যদিও শেষ পর্যন্ত বৈঠক থেকে কোনও রফাসূত্র বের হয়নি। বাতিল হয়ে যায় যৌথ সাংবাদিক বৈঠকও। এরপরই হোয়াইট হাউস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন জেলেনেস্কি।
এই প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘শান্তির জন্য সত্যিই জেলেনস্কি প্রস্তুত থাকলে তিনি আবার হোয়াইট হাউসে আসতে পারেন।’
এক্স হ্যান্ডেলে জেলেনেস্কি লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ আমেরিকা। ইউক্রেনে ন্যায্য অধিকার ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি দরকার। আমরা ঠিক সেই জন্য কাজ করছি।’ এনিয়ে জেলেনস্কির পাশে দাঁড়িয়েছে ফ্রান্স ও স্পেনের মতো ইউরোপের দেশগুলি। সেই সব দেশের নেতারা জানিয়েছেন, জেলেনস্কি একা নন। তাঁরা তাঁর পাশে আছেন।