বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: এবার রোজার ঈদের সময় আন্তঃজেলা যাত্রী পরিবহন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এ সময় সরকারি ছুটি থাকলেও কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে ।করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে এ ব্যাপারে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটিতে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না। ওই সময়ে আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।
‘সাধারণ ছুটির’ সময়ে এক জেলা থেকে আরেক জেলা এবং এক উপজেলা থেকে আরেক উপজেলায় জন সাধারণের চলাচল ‘কঠোরভাবে’ নিয়ন্ত্রিত থাকবে। জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা ‘সতর্কভাবে’ বাস্তবায়ন করবে।
এতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জনগণকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে। রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (প্রয়োজনীয় ক্রয়-বিক্রয়, ওষুধ কেনা, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে আসা যাবে না।
আদেশে বলা হয়েছে, সাধারণ ছুটি বা চলাচলে নিষেধাজ্ঞার সময়ে জরুরি সেবা যেমন- বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দর (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এ ছুটির বাইরে থাকবেন।
এছাড়া, সড়ক ও নৌপথে সকল প্রকার পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত ট্রাক, লরি, কার্গো ভেসেল চলাচল অব্যাহত থাকবে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যাত্রী পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে গত ২৬ মার্চ থেকে। সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় সরকার ইতোমধ্যে লকডাউনের মেয়াদ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে।