Home সারাদেশ পুত্রবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা, গ্রেপ্তার শ্বশুর

পুত্রবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা, গ্রেপ্তার শ্বশুর

গ্রেপ্তার আমির আলী

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ: ভৈরবে পুত্রবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে শ্বশুর ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৭ মার্চ) বিকেলে তাদেরকে নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ওই এলাকার তোতা আলীর ছেলে আমির আলী (৬৫) ও তার সহধর্মিণী সমেলা বেগম (৫৫)। অভিযোগকারী নারী অভিযুক্তের ছেলে সাব্বিরের স্ত্রী দেলোয়ারা (২৪)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর বিটুই গ্রামের হাসেম মিয়ার মেয়ে।

জানা গেছে,  ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের জগমোহনপুর এলাকার আমির আলীর ছেলে সাব্বিরের সাথে ৬ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় দেলোয়ারা বেগমের। সংসারের তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে বছর দুয়েক আগে প্রবাসে চলে যায় সাব্বির। সেই থেকেই শুরু হয় দেলোয়ারার ওপর শারীরিক নির্যাতন। বিভিন্নভাবে চলে অত্যাচার-অবিচার। একবার শ্বশুর আমির আলী তার পুত্রবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বিষয়টি স্থানীয়রা পারিবারিক সালিশির মাধ্যমে  মিটমাট করে।

গত ১২ মার্চ রাতে ফের পুত্রবধূর শয়নক্ষে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে শ্বশুর আমির আলী। এসময় ডাকচিৎকার শুরু করলে শ্বশুর পালিয়ে যায়। বিষয়টি শাশুড়ি সমেলা বেগমকে অবগত করলে তিনি উল্টো পুত্রবধূকে শারীরিক নির্যাতন করে। মারধর করে একপর্যায়ে চোখে মুখে জখম করে।

১৬ মার্চ রাতে ভৈরব থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা ও মারধর করে জখমের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে দেলোয়ারা বেগম।

ভুক্তভোগী পুত্রবধূ দেলোয়ারা বেগম বলেন, আমার শ্বশুর আমার বিয়ের পর থেকেও আমার প্রতি কুদৃষ্টি দেয়। তিন বছর আগে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে কোনো রকম প্রাণে বেঁচে যায়। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি মীমাংসা করে। এরপর থেকে আমাকে প্রায় সময় শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করতো। ১২ মার্চ রাতে আমি নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ আমার শ্বশুর ঘরে ঢুকে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমি শাশুড়িকে বিষয়টি জানালে তিনিও আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত করে। পরে আমি কোনো রকম প্রাণে বেঁচে আমার বড় বোনের বাসায় গিয়ে আশ্রয় নেই ও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেই। আমি আমার লম্পট শ্বশুর ও তাকে সহায়তাকারী আমার শাশুড়ির বিচার চাই। কোনো পুত্রবধূ যেন আমার মতো ধর্ষণের শিকার না হয়।

এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে জানা যায় গৃহবধূর শ্বশুর আমির আলী লম্পট প্রকৃতির লোক। তাকে ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়েছে। বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন রয়েছে। গ্রেপ্তারদের সোমবার বিকালে কিশোরগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।