বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক:গ্রীষ্মের তাপে যখন শরীর ক্লান্ত ও জলশূন্যতায় ভুগছে, তখন প্রকৃতি আমাদের জন্য নিয়ে আসে তরমুজের মতো একটি অসাধারণ ফল। মার্চ মাসের শেষের দিকে, যখন গ্রীষ্মের তীব্রতা বাড়তে শুরু করে, তরমুজ শুধু তৃষ্ণা মেটায় না, শরীরে শক্তি ও সতেজতা ফিরিয়ে আনে। বাজার এখন তরমুজে ছেয়ে গেছে। শুধু খেতে সুস্বাদুই নয়, শরীর-স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। এতে প্রচুর ভিটামিন এ, বি৬, সি, পটাশিয়াম, লাইকোপেন ও সিট্রুলিনের মতো উপাদান থাকে। যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য তরমুজ আদর্শ খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়।
তরমুজের এত গুণ থাকা সত্ত্বেও খুব বেশি তরমুজ খাওয়া ঠিক নয়। কারণ –
শরীরে অতিরিক্ত পানি – বেশি তরমুজ খেলে শরীরে পানির পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে শরীর থেকে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে যায়। শরীর থেকে যদি এই জল বেরোতে না পারে, তখন নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে পা ফুলে যাওয়া, ক্লান্ত বোধ করা বা কিডনি দুর্বল হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে।
গ্লুকোজের স্তর বাড়ায় – যাঁদের ডায়াবিটিসের সমস্যা আছে, তাঁদের বেশি তরমুজ খাওয়া ঠিক নয়। তাঁদের রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয় তরমুজ। এটিকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে বিবেচনা করা হলেও এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৭২। তাই ডায়াবিটিকরা নিয়মিত তরমুজ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হৃদরোগ – তরমুজে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে, যা শরীর ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তরমুজ খেলে হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে। এছাড়া হাড় ও মাংসপেশি শক্তিশালী হয়। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় পটাশিয়াম শরীরে গেলে হৃদযন্ত্রে নানা সমস্যা যেমন অনিয়মিত হৃদস্পন্দন দেখা দিতে পারে, নাড়ির গতি কমে যেতে পারে।
যকৃতে প্রদাহ – যাঁরা মদ্যপান করেন তাঁদের তরমুজ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। বেশি পরিমাণে তরমুজ খেলে তাঁদের যকৃতে প্রদাহ হতে পারে। এতে প্রচুর লাইকোপেন থাকায় অ্যালকোহলের সঙ্গে বিক্রিয়া করে প্রদাহ তৈরি করে। যকৃতে এ ধরনের প্রদাহ যথেষ্ট ক্ষতিকর।
হজমে গণ্ডগোল – তরমুজে প্রচুর জল ও ডায়েটারি ফাইবার থাকে। বেশি পরিমাণে তরমুজ খেলে হজমে গণ্ডগোল হতে পারে। বিশেষ করে ডায়ারিয়া, খাবার হজম না হওয়া, গ্যাসের মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। এতে চিনির যৌগ হিসেবে পরিচিত সরবিটল থাকে, যাতে গ্যাসের সমস্যা ও পাতলা পায়খানা হতে পারে।