বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: রাজধানী ঢাকা এবং চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ৫৯৭ কিলোমিটার দূরে মিয়ানমারের মান্দালয়ে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৩। এর উৎপত্তিস্থল ছিল বাংলাদেশের পাশের দেশ মিয়ানমারের মান্দালয়। ঢাকা থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ৫৯৭ কিলোমিটার। ৭ দশমিক ৩ মাত্রার এই ভূমিকম্প বড় ধরনের বলে গণ্য করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। এর উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর–উত্তরপশ্চিমে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল। পরপর তিনবার কম্পন অনুভূত হয়েছে মিয়ানমারে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭.২, ৭ এবং ৫। কম্পন এতটাই তীব্র ছিল যে, ৯০০ কিলোমিটার দূরে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককেও হোটেল, শপিং মল কাঁপতে শুরু করে। আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে আসেন স্থানীয়রা। সেখানে ভেঙে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ বাড়ি। জানা যাচ্ছে, ভূমিকম্পের জেরে মিয়ানমারের একাধিক ব্রিজ ভেঙে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে একাধিক বহুতল। ইতিমধ্যে বেশকিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে দাবি, মান্দালয়ে একটি মসজিদ ভেঙে পড়েছে। তার নীচে চাপা পড়ে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মায়ানমারে ভূমিকম্পের ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। যেখানে ১৯৩০ থেকে ১৯৫৬ সালের মধ্যে উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত সাগাইং ফল্টের কাছে ৭.০ মাত্রার বা তাঁর বেশি ছয়টি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। মধ্য মায়ানমারের প্রাচীন রাজধানী বাগানে ২০১৬ সালে ৬.৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে তিনজন নিহত হন। ইন্ডিয়ান প্লেট, বার্মা মাইক্রোপ্লেট এবং শান-থাই ব্লক- এই তিনটি টেকটনিক প্লেট মায়ানমারে রয়েছে। এই কারণে এটি পৃথিবীর ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকাগুলির মধ্য অন্যতম।