বিজনসটুডে২৪ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভের প্রধান জেরোম পাওয়েলকে নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করার জেরে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ আরও বেড়েছে। এর প্রভাবে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সোনার দাম প্রতি আউন্স ৩ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার ছুঁয়েছে।
বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৯ মিনিটে বিশ্ববাজারে স্পট গোল্ডের দাম ০ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ৩ হাজার ৪৫২ দশমিক ১৫ ডলারে দাঁড়িয়েছিল। তার কিছুক্ষণ আগেই এর দাম পৌঁছেছিল রেকর্ড ৩ হাজার ৫০০ দশমিক ০৫ ডলারে।
এদিন যুক্তরাষ্ট্রের সোনার ফিউচার মূল্য ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৪৬৪ দশমিক ৫০ ডলার। জার্মানির হেরায়াস মেটালসের মূল্যবান ধাতু ব্যবসায়ী আলেকজান্ডার জুম্ফে বলেন, সোনার দামের সাম্প্রতিক এই ঊর্ধ্বগতির মূল কারণ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ফেড চেয়ারম্যান পাওয়েলের ওপর প্রকাশ্য আক্রমণ। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও আর্থিক নীতির উদ্বেগ অব্যাহত থাকায় সোনার চাহিদা আরও বাড়তে পারে। তিনি আরও জানান, এখন সোনার দামে ৩ হাজার ৪৫০ এবং ৩ হাজার ৪০০ ডলার হলো গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক স্তর। মানসিকভাবে পরবর্তী লক্ষ্য হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ ডলার।
ট্রাম্প সম্প্রতি সুদের হার কমানোর দাবিতে ফেড চেয়ারম্যানের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। এতে সোমবার ওয়াল স্ট্রিটে শেয়ারবাজারে প্রায় ২ দশমিক ৪ শতাংশ পতন ঘটে এবং ডলারের দাম তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামে। ডলারের দাম কমে যাওয়ায় অন্য দেশের ক্রেতাদের জন্য সোনার দাম তুলনামূলক কমে আসে। স্টোনএক্স-এর বিশ্লেষক রোনা ও’কনেল বলেন, সাধারণত শেয়ারবাজারে এমন পতনের সময় বিনিয়োগকারীরা সোনা বিক্রি করেন। কিন্তু এবার উল্টো চিত্র দেখা গেছে—বিনিয়োগকারীরা বরং সোনার দিকেই ছুটছেন। এ বছর এখন পর্যন্ত সোনার দাম প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বেড়েছে। বিশ্বব্যাপী আর্থিক ও ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার সময় সাধারণত সোনাকে নিরাপদ সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এদিন, স্পট সিলভারের দাম ০ দশমিক ৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৪১ ডলারে। এছাড়া প্লাটিনামের দাম ০ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৯৬৮ দশমিক ১৫ ডলার এবং প্যালাডিয়ামের দাম ১ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে পৌঁছেছে ৯৪২ দশমিক ৬৭ ডলারে।