বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, বগুড়া: শহরের নামুজা এলাকার দশম শ্রেণির ছাত্র ইমরান আলীর সাথে পরিচয় শিবগঞ্জ উপজেলার একই শ্রেণির আর এক ছাত্রীর। কিছুদিন ফোনে ফোনে প্রেম। তারপর মঙ্গলবার ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে ছাত্রীটিকে বাড়ি থেকে নিয়ে এক আবাসিক হোটেলে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনা বগুড়া শহরের। ছাত্রীটিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কিশোরীর স্বজনরা জানান, ঠেঙ্গামারা এলাকায় নিয়ে কৌশলে ধর্ষণ করেছে মেয়েটিকে। কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা বিষয়টি জানতে পারেন। পরে তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অভিযুক্ত মো. ইমরান (১৯) বগুড়া সদর উপজেলার নামুজা ভান্ডারীপাড়া গ্রামের পিন্টু মিয়ার ছেলে।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা জানান, তার মেয়ের সঙ্গে পাশের গ্রামের এক কিশোরের মুঠোফোনের মাধ্যমে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সকালে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে কিশোরীটি তার ছেলে বন্ধুর সঙ্গে বগুড়া সদরের একটি ইকো পার্কে ঘুরতে যায়। সেখান থেকে তাকে প্রলোভন দেখিয়ে শহরের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ওই ছেলে বন্ধু। পরে বিকেলে বাড়ির ফেরার পথে ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে সেই ছেলে বন্ধু পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা কিশোরীকে উদ্ধার করে স্বজনদের খবর দিলে পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মঈনুউদ্দিন বলেন, ভুক্তভোগী কিশোরী আশঙ্কামুক্ত। এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ জানিয়েছেন যে ওই কিশোরীর রক্তক্ষরণ হয়েছিল। তবে এখন আশঙ্কামুক্ত ।
