বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আতঙ্কের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় শহর দিঘার সমুদ্রে অদ্ভুত ফেনা দেখা গেছে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে বরফ পড়ে আছে। কিন্তু একটু মনোযোগ দিয়ে দেখলেই বোঝা যায় যে এগুলি বরফ নয়, আসলে সমুদ্রের ফেনা। তবে ঘূর্ণিঝড়ের আগে দিঘার সমুদ্রে এমন সাদা ফেনা দেখা যাওয়ায় নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সমুদ্র বিজ্ঞানী আনন্দদেব মুখোপাধ্যায় বলেন, সমুদ্রের ফেনার ঘটনা একেবারেই অস্বাভাবিক নয়। এ নিয়ে ভয় পাওয়ারও কোন কারণ নেই।
তিনি আরও বলেন, লকডাউনের ফলে সমুদ্র এখন অনেকটা দূষণমুক্ত। আগে দূষণের জন্য সমুদ্রের তলদেশের সেডিমেন্ট সমুদ্রের নিচের দিকেই থাকত। কিন্তু এখন দূষণ না থাকায় সেসব উপাদান পানির উপরের স্তরে চলে আসছে। আর আম্ফানের প্রভাবে সমুদ্রের ওপরে বাতাসের গতিবেগ এখন অনেক বেড়েছে। যার ফলে বাতাসের ধাক্কায় সমুদ্রের পানিতে উৎপন্ন হচ্ছে ফেনা। যা আছড়ে পড়ছে উপকূলে।
দিঘা অ্যাকুইরিয়ামের অন্যতম আধিকারিক তথা সমুদ্রবিজ্ঞানী প্রসাদচন্দ্র টুডু বলেন, “এটা স্বাভাবিক ঘটনা। আগে সমুদ্রের ঢেউ বা রোলিং কম ছিল। তাই ফেনা কম উৎপন্ন হত। এখন সমুদ্রের জলের সার্কুলেশন অনেক বেড়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের জন্য বেড়েছে সমুদ্রের উপরে বাতাসের গতিবেগ। তাই অনেক বেশি ফেনা বেড়েছে।’’
শুক্রবার রাতের তুলনায় শনিবার সকালে যদিও ফেনা কিছুটা কমেছে। বেলা যত গড়িয়েছে এই ফেনার পরিমাণ আরও কমেছে বলে স্থানীয়দের দাবি। লকডাউন চলায় দীঘা উপকূল এখন কার্যত জনমানব শূন্য। নুলিয়া ও দিঘা উপকূল থা’নার পু’লিশের টহলদারি রুটিন অনুযায়ী চলছে। তবে এই ফেনা দেখার জন্য দুই এক জন অ’ত্যুৎসাহী স্থানীয় বাসিন্দা অবশ্য দিঘা উপকূলে চলে আসছেন। পু’লিশ তাঁদের উপকূল থেকে সরিয়ে দিচ্ছে।