বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: বন্দর সচল হলেও বহির্নোঙরে বড় বড় জাহাজ থেকে মাল খালাস বন্ধ রয়েছে। সব লাইটার জাহাজ কর্ণফুলীতে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে।
চট্টগ্রামে মহাবিপদ সংকেত কেটে গেছে। এখন ৩ নম্বর স্থানীয় সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সাধারণত ৩ নম্বর স্থানীয় সংকেতে লাইটারের মত ছোট ছোট নৌযানসমূহকে উপকূলের কাছে থাকার পরামর্শ দেয়া হলেও তা তেমন প্রতিপালিত হয় না। লাইটারিং চলে পুরোদমে। তবে, এখন পরিস্থিতি ভিন্ন ।
চট্টগ্রাম বন্দর লাইটারেজ ঠিকাদার সমিতির সভাপতি হাজি সফিক আহমদ এ প্রসঙ্গে বিজনেসটুডে২৪ কে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় কেটে যাওয়ার পর সাগর শান্ত হয়নি। এখনও উত্তাল। এ রকম ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে লাইটার জাহাজ বহির্নোঙরে যায় না। সাগরের অবস্থা আরও স্বাভাবিক হলে তারপর গিয়ে থাকে। আশা করেন যে শুক্রবারের দিকে যেতে পারে।
ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল ( ডব্লিউটিসি ) সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বার্থিং সভা হয়েছে এবং শুক্রবারের জন্য জাহাজ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বহির্নোঙরে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস পরিচালনা করে শিপহ্যান্ডলিং অপারেটররা। তাদের নিয়োজিত গ্যাং পণ্য খালাস করে। ঘূর্ণিঝড়ের আশংকা তৈরির আগে ২২ টি জাহাজ থেকে লাইটারিং চলছিল। সব জাহাজের স্টিভিডোরিং গ্যাংসমূহ তীরে ফিরে এসেছে। এখনও যায়নি। লাইটার জাহাজেই তারা বহির্নোঙরে যায়। মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস শেষ হওয়া পর্যন্ত একটানা সেখানে থাকে। চাল, গম, ভুট্টা, ডাল, চিনি, সার, সিমেন্ট ক্লিংকার, স্টিল কারখানার কাঁচামাল ইত্যাদি নিয়ে বড় বড় যেসব জাহাজ বিদেশ থেকে আসে তার সবগুলো জেটি পর্যন্ত আসতে পারে না সরাসরি। এসব পণ্যের প্রায় ৭৫ ভাগ বহির্নোঙরে খালাস করা হয়। কোন কোন জাহাজ সব পণ্য বহির্নোঙরে খালাস করে ফিরে যায়। আর কিছু জাহাজ আংশিক পণ্য সেখানে লাইটারিং করে চলে আসে জেটিতে।