Home অন্যান্য দুই মুসলিম যুবকের রোজা ও ঈদ হিন্দু পরিবারে

দুই মুসলিম যুবকের রোজা ও ঈদ হিন্দু পরিবারে

মুসলিম দুই কাশ্মীরি যুবক

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি                                  

কলকাতা: হিন্দুবাড়িতে থেকে রোজাপালন, আবার সেখানেই পবিত্র ঈদের নামাজ। তা সারলেন দুই কাশ্মীরি মুসলমান যুবক।  এই সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্ঠান্তের সাক্ষী বর্ধমান। হিন্দু পরিবারে আতিথেয়তায় ঈদ পালন করতে পেরে আপ্লুত কাশ্মীরি যুবকরা। লকডাউন চলায় নিজেদের বাড়ি ফিরতে পারেননি দুই কাশ্মীরি মুসলমান যুবক। তাঁদের আশ্রয় দিয়েছেন বর্ধমানের ভাতছালা বাসিন্দা পল্লব দাসের পরিবার। রোজা শুরুর প্রথম দিন থেকেই তাঁরা পল্লববাবুর বাড়িতে থেকেই রোজা পালন করেছেন। সেখানেই  ইফতারও সেরেছেন। যুবকদের রোজাপালন ও ইফতার সারার ব্যাপারে সহযোগিতা করে গেছেন পল্লব দাস ও তার মা রাইমণি দাস। ঈদের নমাজ পাঠ থেকে শুরু করে সব কিছুই ঠিকঠাক সারতে পেরে খুশি কাশ্মীরি মুসলমান
যুবকরা। এদিন নামাজশেষে কাশ্মীরি যুবক ফৈয়াজ আহমেদ ও মনজুর আহমেদ বলেন, সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার মহত্মবোধ পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদেরই রয়েছে।

পল্লব দাস ও তার মা রাইমণি দাস এদিন জানালেন , প্রতিবছর শীতের শুরুতে ফৈয়াজ ও তার ভাই মনজুর কাশ্মীর থেকে বর্ধমানে চলে আসে। রাইমণিদেবী বলেন, যুবকরা এবছরও তাঁদের বাড়ি ভাড়া নিয়ে নভেম্বর মাস থেকে থাকতে শুরু করে। তাই দায় বিপদে তিনি তাঁদের পাশে থাকেন। ফৈয়াজ ও মনজুর এপ্রিল মাস পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে শীতবস্ত্র বিক্রি করে। এবছরও নির্দিষ্ট সময়ে ওরা দুই ভাই বর্ধমানে আসে।

কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোখার জন্য লকডাউন চালু হতেই ওরা বিপাকে পড়ে যায়। কাশ্মীরের বাড়িতে আর ফিরতে না পেরে ওরা তাঁদের বর্ধমানের বাড়িতেই আটকে পড়ে। তারই মধ্যে রোজা শুরুর দিনও নির্দিষ্ট হয়ে যায়। রাইমণিদেবী জানালেন, রোজা পালনে ফৈয়াজ ও মনজুরকে যাতে কোনও অসুবিধায় পড়তে না হয় তার জন্য তিনি ও তাঁর ছেলে  সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।

দুই কাশ্মীরি মুসলান যুবক মানসিক তৃপ্তি নিয়ে যাতে ঈদ পালন করতে পারেন তার আয়োজনে তারা কোনও ত্রুটি রাখতে চাননি। ফৈয়াজ ও মনজুর এদিন বলেন , ‘বাঙালির এই মহানুভবতা চিরদিন মনে রাখব। পল্লববাবু ও তাঁর মায়ের আতিথেয়তার কথা কাশ্মীরে ফিরে গিয়ে সবাইকে বলব।’