আগামী দুই-এক বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ই-কমার্স কোম্পানি অ্যামাজন ও খুচরা পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট বাংলাদেশের বাজারে ঢুকতে পারে বলে জানিয়েছেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট রেজওয়ানুল হক জামি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুচরা বহুজাতিক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের বাজারে আসতে শুরু করেছে। অ্যামাজন-ওয়ালমার্টও এই প্রতিযোগিতায় নামতে চাইছে।
আগামী দুই এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের বাজারে ঢুকতে পারে কোম্পানি দুটি। তিনি বলেন, ঢাকায় দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে বাংলাদেশে ‘ই-কমার্সের চ্যালেঞ্জ ও তার সমাধান’ নিয়ে দেশীয় উদ্যোগের শীর্ষ ১০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনা হয়। ওই সময় এক পার্শ্ব আলোচনায় এ তথ্য জানানো হয়।
ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের এ নেতা আরও বলেন, ঢাকায় এরইমধ্যে ওয়ালমার্ট একটি বড় অফিস নিয়েছে। তারা ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা করছে। আর অ্যামাজন এখন সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে। তবে এ ধরনের বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের খুচরা বাজারে প্রবেশ করলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে বলে তিনি জানান।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা সংশোধনে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। গত ১৬ জুলাই মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়া নীতিমালায় ই-কমার্স উদ্যোগে সর্বোচ্চ ৪৯ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে। কিন্তু বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে ই-কমার্সে শতভাগ বিদেশি মালিকানা রাখার সুযোগ দিয়ে এখন সরকার এটি সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ই-কমার্সে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে অবশ্য আশঙ্কার কথাও জানানো হয়েছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, বিদেশি বিনিয়োগের তারা বিরোধিতা করছেন না। তবে দেশীয় কোনও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্বে না গিয়ে শতভাগ বাইরের বিনিয়োগ হওয়ায় এক্ষেত্রে সরকারকেই দেশীয় উদ্যোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।
দেশে ই-কমার্সের বাজারে বর্তমানে প্রায় ১০০টি প্রতিষ্ঠান বছরে ৭০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করছে, যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তথ্যসূত্র: আরটিভি অনলাইন ডটকম