- ১২ বেসরকারি হাসপাতাল চুক্তি বাস্তবায়ন করেনি
- মা-শিশু হাসপাতাল করোনা ইউনিট চালু করতে পারছে না
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ খোরশেদ আলম সুজনের প্রশ্ন: দেশে রাষ্ট্রের চেয়ে শক্তিশালী এরা কারা?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শনিবার ফ্যাক্স ও ইমেইলে পাঠানো এক বার্তায় তিনি এই প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে সব নির্দেশনা দেওয়া হয় চট্টগ্রামে কেন যেন কে বা কারা পেছন থেকে কলকাঠি নেড়ে নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন হতে দেয় না। ইতিপূর্বে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, ডিজি (হেলথ) এর সাথে ১২টি বেসরকারি হাসপাতালের চুক্তি হয়েছিল যে তারা প্রত্যেকটি হাসপাতালে ১০টি করে করোনা বেড এবং ৩টি আইসিইউ করোনা রোগীদের জন্য বরাদ্দ দিবেন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এই চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি যার কারণে অনেক রোগী শুধুমাত্র আইসিইউ সুবিধার অভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের একটি সেকশন ১০০টি বেড ও পর্যাপ্ত আইসিইউ বেডসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত করে রাখলেও ডাক্তারদের একাংশের অসহযোগিতার দরুণ তারা এটা কোনভাবেই চালু করতে পারছেন না।
করোনা সংক্রমন শুরু হওয়ার পর বৃতত্তর চট্টগ্রামের জন্য ফৌজদারহাট বি আই টি ডিতে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল আর জেনারেল হাসপাতালে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল করা হয়। পরবর্তীতে জেনারেল হাসপাতালে ১০টি ভেন্টিলেশন সহ আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু গার্মেন্টস ইন্ড্রাস্টি চালু হওয়ার পর হঠাৎ করে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এই ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা রোগীর সংখ্যার তুলনায় অপ্রতুল হয়ে পড়ে। এবং দিন যাওয়ার সাথে সাথে ক্রিটিকাল রোগীর সংখ্যা এত বেড়ে গেলো যে কোন রোগী মারা গেলে তাকে কবর দেওয়ার পর বেড খালি হলে তবেই বেডে অন্য রোগী ঢুকানো হচ্ছে। এর আগে প্রয়োজন হলেও ঢুকানো সম্ভব হয়নি ভেন্টিলেশনের অপ্রতুলতার কারনে। চট্টগ্রামের অনেক মানুষ শুধুমাত্র ভেন্টিলেশনের অভাবে মৃত্যু মুখে পতিত হয়েছে।
চট্টগ্রামের মানুষের এই সংকটকে উপলব্ধি করে আরো দুইটি বিশেষায়িত হাসপাতাল-ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল এবং বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালকে করোনা বিশেষায়িত হাসপাতাল ঘোষণা করায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন খোরশেদ আলম সুজন।