বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: মা-শিশু জেনারেল হাসপাতালে করোনা ইউনিট উদ্বোধন হয়েছে শনিবার।এরপর কেটে গেছে আরও সময়।রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে সোমবার বেলা ২ টার পর থেকে।
করোনা ইউনিট চালুর সংবাদ পেযে বিভিন্ন স্থান থেকে রোগীরা সেখানে ছুটে যান। বিফল মনোরথ হয়ে ফিরে যেতে হয়েছে তাদেরকে। জনসাধারণের অনুদানে পরিচালিত হাসপাতালে কেন এমন অবস্থা?
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনা ইউনিটে চিকিৎসক এবং অন্যান্য যেসব কর্মি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করবেন তাদের বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দাবির বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়াটা ছিল বড় বিপত্তি। উদ্বোধনের আগে ও পরে দফায় দফায় বৈঠক করেও হাসপাতাল কার্যনির্বাহি কমিটি তা সমাধান করতে পারেনি। তাতে বিলম্ব হয়ে গেছে।
জানতে চাইলে করোনা ইউনিট বাস্তবায়ন কমিটির উপদেষ্টা ও কার্যনির্বাহি কমিটির দাতা সদস্য ইঞ্জিনিয়ার জাভেদ আবছার চৌধুরী জানান, ‘সব ঠিকঠাক হয়ে গেছে। আর কোন সমস্যা নেই। করোনা ইউনিটে যারা কাজ করবেন ৬০ হাজার টাকা করে এবং সেখানে আইসিইউতে যারা কাজ করবেন ৭০ হাজার টাকা করে পাবেন সর্বমোট। একই ভাবে দ্বিগুণ করা হয়েছে করোনা ইউনিটের অন্যান্য কর্মিদের। ক্লিনার পর্যন্ত সবার বেতন দ্বিগুণ করা হয়েছে।’
করোনা ইউনিটে ১০টি আইসিইউসহ মোট ৩৫টি শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। ইতিপূর্বে যেসব রোগী ভর্তি রয়েছে তাদেরকে করোনা ইউনিটে স্থানান্তরের উদ্যোগ নিয়েও তা করা হয়নি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ২২জন নতুন রোগী ভর্তি করা হয়েছে প্রথমদিনে। সিরিয়ালে যে সব রোগী রয়েছেন সেখান থেকে আরও ভর্তি হচ্ছে বলে জানালেন জাভেদ আবছার চৌধুরী।
করোনা ইউনিটে রয়েছে দু’টি হাই ফ্লো অক্সিজেন ডিভাইস। করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। তীব্র শ্বাসকষ্টের সময় তা দরকার। নতুন ভর্তি হওয়া কাজি খলিলূর রহমান (৬২)কে সেই সাপোর্ট দেয়া হচ্ছে। তিনি ৮ দিন নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ সাপোর্টে ছিলেন।
এদিকে, প্রথমদিনে সেখানে করোনা রোগী নিয়ে গিয়ে রিসেপশন থেকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই অভিযোগ করেন রোগীর স্বজন। স্ট্যাটাসে উল্লেখ করা হয়, মিথ্যা তথ্যে যখন ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছিল তখন তিনি কার্যনির্বাহি কমিটির এক পরিচালককে ফোন করে বিষয়টি জানান। সেই পরিচালক রিসেপশনে কথা বলার পর ভর্তি করা হয়েছে।
সাধারণ ও বিত্তবানদের অর্থানুকূল্যে পরিচালিত এই হাসপাতালের কতিপয় কর্মির বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ অনেক দিন ধরে। এদের বিরুদ্ধে কোনো এক অজ্ঞাত কারণে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে না ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।