বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: বাজেটে মোবাইল কলে যে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে তাতে মানুষের তেমন ক্ষতি হবে না । এই বাড়তি ব্যয়ের সক্ষমতা মানুষের আছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম আজ শুক্রবার এই মন্তব্য করেন।
বলেন, বর্তমানে কলরেট অনেক কম তাই অপ্রয়োজনীয় কথা বলার প্রবণতা বেড়ে গেছে। তবে কথা বলার প্রবণতা কমানোর জন্য কলরেটে শুল্ক বসানো হয়নি। কলরেট কম তাই মাত্র ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।
নতুন অর্থবছরের (২০২০-২১) প্রস্তাবিত বাজেট-উত্তর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মোবাইলে খরচ বাড়ানো হলো কেন এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে প্রশ্ন করায় তিনি এনবিআর চেয়ারম্যানকে এর উত্তর দিতে বলেন। এসময় এনবিআরের চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমাদের একটা সমস্যা হচ্ছে কত শতাংশ বাড়ানো হলো সেটা বিবেচনা না করেই এর বিরোধিতা করা হয়। এক্ষেত্রে মাত্র ৫ শতাংশ শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এটাতে মানুষের তেমন ক্ষতি হবে না।
এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, বর্তমানে মোবাইল কলরেটের হার এত কম যে অপ্রয়োজনীয় কথা বলার পরিমাণ বেড়ে গেছে। কথা বলতে বলতে ট্রেনের সাথে অ্যাকসিডেন্ট করার ঘটনাও আছে। তবে আমরা কথা বেশি বলাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এ শুল্ক বাড়াইনি। বরং কলরেট খুব কম। তাই এক্ষেত্রে মাত্র ৫ শতাংশ শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।
বাজেটে মোবাইল সেবার ওপর কর আরেক দফা বাড়িয়েছে সরকার। নতুন অর্থবছরের বাজেটে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে ব্যয় বাড়বে মোবাইল ফোনে কথা বলা, এসএমএস পাঠানো ডেটা ব্যবহারে।