Home বিনোদন এখনও সঙ্কটজনক লতা মঙ্গেশকর

এখনও সঙ্কটজনক লতা মঙ্গেশকর

এখনও সঙ্কটজনক লতা মঙ্গেশকর। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা এখনও তাঁর রয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়াতে প্রকাশিত খবর মোতাবেক, হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন লতাজি। যদিও সর্বক্ষণ ডাক্তাররা তাঁকে নজরে রেখেছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর মোতাবেক, সঙ্গীতশিল্পী ধীরে ধীরে চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছেন। যদিও অন্য একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যমে লতাজির পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে যে, আপাতত তিনি সুস্থ রয়েছেন। চিকিৎসাতে সাড়াও দিচ্ছেন।

সঙ্কটজনক অবস্থায় রবিবার গভীর রাতে মুম্বইয়ের ব্রিজক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় লতা মঙ্গেশকরকে। মূলত বার্ধক্যজনিত বেশ কিছু সমস্যা এবং নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার দুপুরে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তাঁর অনুরাগীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। হাসপাতালের বাইরে জড়ো হতে থাকএন অসংখ্য তাঁর অনুরাগী।

জানা যায়, রবিবার গভীর রাতে হঠাত করেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে ব্রিজক্যান্ডি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত। ইতিমধ্যে তাঁর চিকিৎসার জন্যে তৈরি করা হয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড। এই বোর্ড সর্বক্ষণ তাঁর শারীরিক অবস্থার নজর রাখছেন। প্রসঙ্গত, ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯২৯ সালে জন্ম হয় ভারতের এই স্বনামধন্য গায়িকার। তিনি এক হাজারের বেশি ভারতীয় ছবিতে গান করেছেন। এছাড়া ভারতের ৩৬টি আঞ্চলিক ভাষাতে ও বিদেশী ভাষায় গান গাওয়ার একমাত্র রেকর্ডটি তাঁরই। বাংলাতেও তিনি অনেক গান করেছেন। ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান ভারত রত্ন পাওয়া তিনিই দ্বিতীয় সঙ্গীতশিল্পী। ভারত সরকার ২৮সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে তাকে “ডট্যার অব দ্য নেশন” খেতাবে ভূষিত করেন।

শৈশবে বাড়িতে থাকাকালীন কে এল সায়গল ছাড়া আর কোনও কিছু গাইবার অনুমতি ছিল না তাঁর। বাবা চাইতেন তিনি শুধুই ধ্রপদী গান নিয়েই থাকুক। জীবনে প্রথম রেডিও কেনার সামর্থ্য যখন হল, তখন তার বয়স আঠারো। কিন্তু রেডিওটা কেনার পর নব ঘুরাতেই প্রথম যে খবরটি তাকে শুনতে হয় তা হচ্ছে, কে. এল. সায়গল আর বেঁচে নেই। সঙ্গে সঙ্গেই রেডিওটা ফেরত দিয়ে দেন তিনি। প্রখ্যাত এই সঙ্গীতশিল্পীকে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘অফিসার দে লা দি’অনার’ প্রদান করেছে সে দেশের সরকার।